সকল মেনু

সৌদি গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন শুরু

82604_78544নিজস্ব প্রতিবেদক : সৌদি গমনেচ্ছু কর্মীদের নাম প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করতে সোমবার থেকে সারাদেশে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। যেসব বিদেশ গমনেচ্ছু ব্যক্তি এতদিন ডাটাবেজে নাম নিবন্ধন করেননি, তারা নতুন করে এখন নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল মেলায় স্থাপিত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ৬০ নম্বর প্যাভিলিয়নে সৌদি গমনেচ্ছুকরা ২০০ টাকায় নাম নিবন্ধন করতে পারছেন। এছাড়া রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবন এবং দেশের সব জেলার কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার বাসসকে বলেন, বিদেশ যেতে আগ্রহী ২২ লাখেরও বেশি কর্মীর নাম নিবন্ধিত রয়েছে মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে। চাইলে তারাও সৌদি আরবের জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। সৌদি সরকার দক্ষ কর্মী নিতে চায়, আমরাও সেখানে দক্ষ কর্মী পাঠাতে চাই।

তিনি বলেন, ৪ দিনের এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে তিনি সৌদি গমনেচ্ছু কর্মীদের নাম তালিকায় নিবন্ধনের অনুরোধ করেন।

প্রথমদিনে বিপুলসংখ্যক বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী নাম নিবন্ধন করেছেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, টানা ৬ বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে সৌদি শ্রমবাজার বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় প্রতি মাসে ১০ হাজার কর্মী নেবে সৌদি সরকার।

সূত্র জানায়, ডাটাবেজে নাম নিবন্ধন ফি ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। এ তালিকা যোগ হবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নিবন্ধিত তালিকার সঙ্গে। কেবলমাত্র সৌদি আরবই নয়, অন্য যে কোনো দেশে যেতে আগ্রহীরা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানে গৃহশ্রমিক পেশায় কাজ করতে আগ্রহী নারীরাও তাদের নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। এ জন্য এক্ষেত্রে পুরুষ কর্মীদের নিবন্ধনের বয়সসীমা করা হয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর এবং গৃহকর্মী হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নারীদের বয়সসীমা ২৫-৪৫ বছর।

নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি থাকে) এবং জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।

কর্মীদের নাম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যৌথভাবে সহায়তা করছে।

এক্ষেত্রে আরো যেসব প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে, এগুলো হলো- বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং এ্যাসোসিয়েশন, এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব) এবং বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিআইটি)।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top