সকল মেনু

বিনা-৪ জাতের সরিষা আবাদ করে কুড়িগ্রামের কৃষকরা লাভবান হয়েছে

Kurigram Pic ২ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধ : বিনা-৪ জাতের সরিষা আবাদ করে কুড়িগ্রামের কৃষকরা লাভবান হয়েছে। স্থানীয় জাতের সরিষার চেয়ে উচ্চ ফলনশীল এ  জাতের সরিষা বিঘা প্রতি ২থেকে ৩ মণের বেশি উৎপাদন হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বন্যা খরার সাথে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা -৪ আবাদ করেছেন জেলা সদরের হলোখানা ও পাঁচগাছী  ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৮শ’ ৪০ জন কৃষক। ২৫০ বিঘা জমিতে এ জাতের সরিষা আবাদে বীজদিয়ে সহায়তা করে কেয়ার বাংলাদেশ এর সহায়তায় ইএসডিওর উদ্যোগে হোয়্যার দ্যা রেইন ফলস প্রকল্প।  উচ্চ ফলনশীল  এ জাতের সরিষা চাষে কারিগরি সহায়তা দেয় কৃষি বিভাগ।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল  জব্বার, খয়বর আলী জানান, স্থানীয় জাতের সরিষার চেয়ে বিঘাপ্রতি ২ থেকে ৩ মণ বেশি ফলন পেয়েছেন তারা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও তাদের বিঘাপ্রতি ৫থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
হলোখানা ইউনিয়নের কৃষক মহির উদ্দিন ও তছলিম  শেখ জানান, আমরা এতদিন স্থানীয় ও টরি-৭ জাতের সরিষা আবাদ করে বিঘা প্রতি ফলন  পেয়েছিলাম ২থেকে ৩ মণ অথচ বিনা –  ৪ জাতের সরিষায় বিঘা প্রতি ফলন পেয়েছি সাড়ে ৫ থেকে ৬ মণ। বর্তমান বাজারে কাঁচা সরিষা ১৪শ’ টাকা মণ। এ হিসেবে উৎপাদন খরচ বাদদিয়ে সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। আগামীতে উচ্চ ফলনশীল এ জাতের সরিষার বীজ সহজলভ্য হলে আরো বিপুল পরিমান জমিতে তারা সরিষা আবাদ করতে পারবে।
কেয়ার বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার তৈয়ব আলী প্রামাণীক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কারনে বন্যা খরার সাথে খাপ খাওয়ানো উপযোগী এ জাতের সরিষার আবাদে আমরা সহায়তা করেছি। এতে স্থানীয় জাত ও টরি-৭  জাতের সরিষার সাথে বিনা  -৪ জাতের সরিষা আবাদ করে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে তুলনা মূলক ফলন পার্থক্য ফলাফল প্রদর্শন করা হয়েছে।
বাংলাদদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট, রংপুর এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, যে বিনা উদ্ভাবিত বিনা – ৪ জাতের সরিষা ৮০থেকে ৮৫ দিনের মধ্যেই উৎপাদন সম্ভব এবং ভালভাবে পরিচর্যা করাগেলে এর ফলন প্রতি হেক্টরে ২থেকে আড়াই টন। সরিষা কর্তন উপলক্ষে রবিবার পাঁচগাছী ও হলোখানা ইউনিয়নে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় জাত টরি- ৭ জাত ও বিনা – ৪ জাতের সরিষার ফলন পার্থক্য তুলে ধরা হয়। এসময় বিভিন্ন কৃষক মাঠ স্কুলের কৃষক ও কৃষাণীরা অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন ইএসডিওর প্রজেক্ট ম্যানেজার আলমাহমুদ, পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমীর হোসেন ব্যাপারী সহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top