সকল মেনু

সঙ্কট উত্তরণে বড় দুই রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার তাগিদ

সংকটনিজস্ব প্রতিবেদক : চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে ২০ দলীয় জোটের সংলাপের আহ্বানে সরকারের সাড়া দেয়া উচিত বলে মনে করছেন ২০ দলীয় জোট ও জোটের বাইরে থাকা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।

তাদের মতে, এই সঙ্কটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে। অন্যদিকে, ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা বলছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়।

দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অবরোধের ২০ দিনেরও বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার ঘটনা। একইসঙ্গে বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে দুই রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসতে তাগাদা দিয়েছে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল।

এমন অবস্থায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের দাবি, আলোচনার পরিবেশ সরকারকেই তৈরি করতে হবে। তবে ১৪ দলীয় জোট নেতারা মনে করেন, যারা এ সঙ্কট তৈরি করেছে তাদেরকেই এর নিরসনে উদ্যোগ নিতে হবে।

জাসদ- এর কার্যকরী মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘মানুষকে বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে কোন শান্তি বা কোন গণতন্ত্র অর্জিত হবে না। অবরোধ যিনি ডেকেছেন তাকেই অবরোধ তুলে নিতে হবে।’

চলমান আন্দোলনের সফল পরিণতি নিয়ে আশাবাদী ২০ দলীয় জোট নেতারা।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘অবরোধকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সামনে এধরনের কর্মসূচি আসতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া যে সাত দফার প্রস্তাবনা দিয়েছেন, তাকেই আলোচনার ভিত্তি ধরা যেতে পারে।’

এ ব্যাপারে মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘সরকার ও জনগণের পিঠে বন্দুক ধরে যদি সংলাপ করতে বাধ্য করা হয়, তবে এটাই এ দেশে নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।’

কোনো জোটভুক্ত নয়, এমন রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে, বিএনপিকে বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পথ সরকারকেই করে দিতে হবে। এজন্য আলোচনার কোন বিকল্প নেই।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। সে নির্বাচন যে কালকেই হবে এরকম কোন কথা নেই।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘আমাদের দেশে স্বাধীনতার মৌল ভিত্তি নিয়েই দ্বন্দ্ব-সংঘাত দেখা দিয়েছে। এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত সমাধানের জন্য একটি রাজনৈতিক আলোচনা হওয়া দরকার।’

একইসাথে সকল রাজনৈতিক দলকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বাদ দিয়ে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এই নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top