সকল মেনু

হরতাল-অবরোধে লোকসানের মুখে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা

হরতাল-অবরোধে লোকসানের মুখে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরারাজশাহী প্রতিনিধি : টানা অবরোধ ও হরতালে জেলার বাইরে শাক-সবজি না যাওয়ায় লোকসান গুনছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। আর পরিবহন খরচ বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন বাইরে থেকে আসা ব্যাপারীরাও। এ অবস্থায় কৃষি পণ্যকে হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

মাস খানেক আগে শিম, আলু বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাক-সবজি হাটে উঠলেও এখন অনেকটা ফাঁকা পড়ে আছে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা হাট। শুধু এই হাটই নয়, আশে পাশের সব হাটের চিত্র একই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে রাজশাহী থেকে জেলার বাইরে কোন কাঁচামাল যাচ্ছে না। ফলে কৃষকদের বাধ্য হয়ে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে শাকসবজি।

কয়েকজন কৃষক জানান, হাটে কোনো পাইকারি ক্রেতা না থাকায় নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। প্রতি কেজি ফুলকপি উৎপাদনে ৫ টাকা খরচ হলেও এখন তা ২-৩ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে, বাইরে থেকে আসা ব্যাপারীরা বলছেন, পণ্য কম দামে কিনলেও বাড়তি পরিবহন খরচের কারণে তাদেরও তেমন একটা লাভ হচ্ছে না।

ব্যাপারীরা জানান, আগে যে গাড়ি ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ২০ হাজার টাকায় ভাড়া নিতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা। কৃষি পণ্যকে অবরোধ ও হরতালের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকার।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। জনগণের জন্য যদি রাজনীতি হয়ে থাকে, তবে অব্শ্যই কৃষককে বাঁচাতে হবে।’

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় ১৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে শাক সবজির আবাদ হয়েছে। তা থেকে ফলন হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top