সকল মেনু

স্বাস্থ্য রক্ষায় বাদামের গুণাগুন

40144_1বাদাম খেলেই মোটা হয়ে যাবেন, এই ভয়ে বাদামের ধারেকাছে ঘেঁষেন না অনেকেই। অথচ প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। তবে মুখরোচক বলে অল্প খাওয়াও মুশকিল। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান এবং সুস্থ থাকুন।

নিচে বিভিন্ন বাদামের পুষ্টিগুণ দেওয়া হলো-
চিনাবাদাম:

প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, বি, সিরউপকারিতা রয়েছে এই বাদামে।
উপকারিতা-

* প্রোটিনের সম্পূর্ণ উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।
* নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে।

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আখরোট:

আখরোটে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন রয়েছে।
উপকারিতা-

* হাড় শক্ত করে।
* ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।

পেস্তা বাদাম:
পেস্তা বাদামে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ওভিটামিন রয়েছে।

উপকারিতা-
* রক্ত শুদ্ধ করে।

* লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
কাজু বাদাম:

কাজু বাদামে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-এ রয়েছে।
উপকারিতা-

* অ্যানিমিয়া ভালো করে।
* ত্বক উজ্জ্বল করে।

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
আমন্ড:

বাদামের রাজা আমন্ড। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই রয়েছে আমন্ডে।
উপকারিতা-

* শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।
* নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।

* কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।
* অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।

* আমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
* আমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top