সকল মেনু

হরতাল-অবরোধে দিশেহারা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরিক্ষার্থীনিজস্ব প্রতিবেদক : হরতাল আর অবরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে একের পর এক পরীক্ষা। বদলে যাচ্ছে সময়সূচি। একটি বিষয়ের প্রস্তুতি শেষ হতে না হতেই, চলে আসছে আরেকটি বিষয়ের পরীক্ষা। এতে দিশেহারা ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। আর দ্রুত রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।

চলছে দেশের সবচে বড় পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি’র প্রস্তুতি। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই হরতাল ও অবরোধে একের পর এক, সময়সূচি পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা।

এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পুনরায় আমাকে আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এ কারণে পরীক্ষা যে ভালো হবে এটা নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে আছি।’

গত সোমবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে তা পিছিয়ে নেয়া হয়েছে শুক্রবারে। তাই দ্বিতীয়বারের মত একই বিষয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, ‘এই সমস্যায় আমাদের মনবল ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। এরপর আমাদের এক পরীক্ষার প্রস্তুতি বারবার নিতে হচ্ছে। হরতালের কারণে সবকিছু অগোছালো হয়ে যাচ্ছে।’

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই সব পরীক্ষার্থীর মত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অনিশ্চয়তায় সময় পার করছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরাও।

অভিভাবকরা বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য ছেলেমেয়েদের যে একটা ভালো প্রস্তুতি ছিল। ভালো রেজাল্ট করবে। সে আশা তো করতে পারছি না। শুক্রবার যে পরীক্ষা হবে সেটাই আমাদের অনিশ্চয়তা। সেখানে যে বাচ্চাদের নিয়ে যে বাহিরে যাবো সেখানেও আমাদের ভয়।’

আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, ড. শাহান আরা বেগম বলেন, ‘এরপরও যদি আরও বিপর্যয় ঘটে। আরও সামনের পরীক্ষাগুলো যদি না দিতে পারে। তাহলে দেখা যাবে পুরা শিডিউলটাই পরিবর্তন করতে হবে।’

এই পরিস্থিতি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ভয়াবহ হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। যার খেসারত কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘এটা একটা বিশাল পাবলিক পরীক্ষা। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের একটা বড় সোপান। সেখানেই সে হুসট খেয়ে পড়ে গেল। এই ক্ষতি এক প্রজন্ম কেন কয়েক প্রজন্মেও পুষিয়ে নিতে পারবো বলে মনে হয় না।’

তই শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের প্রত্যাশা অন্তত পরীক্ষার দিনগুলোতে যেন আর কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top