সকল মেনু

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশন

 ইকবাল হোসেন,হটনিউজ২৪বিডি.কম, রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিরসন এবং সকল সমস্যা সমাধানের দাবিতে বুধবার বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে আমরণ অনশন শুরু করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের ১ম ফটকের সামনে ব্যানার সাঁটিয়ে তারা এ কর্মসুচি শুরু করে। অনশনরত শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহজাহান মিয়া জানান, বিভিন্ন দাবিতে তিনমাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। উপাচার্যের অপসারণ ও প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে সমর্থন জানিয়েছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসা ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পরিষদের আহবায়ক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান এবং সদস্য সচিব ও  শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আন্দোলকারিরা সকল ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আন্দোলনের বাইরে নীল দলের শিক্ষকরা মাঠেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। এছাড়া আন্দোলনের কারণে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষাও হচ্ছে না। ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাদের শিক্ষা জীবনও অনিশ্চিত। অনশনকারি ভুগোল বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির হোসেন, আবু রাব্বি ও মার্কেটিং বিভাগের মনোয়ার হোসেন জানান, দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রদের হল চালু করা হচ্ছে না। যাতায়াতে জন্য পর্যাপ্ত বাসও নেই। পরিসংখ্যানসহ অন্যান্য বিভাগের ল্যাব চালুসহ  ক্যাম্পাসে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা এই আমরণ অনশন শুরু করেছি। আন্দোলনের ফলে আমরা প্রায় দুবছর সেশনজটের কবলে পড়েছি। আমাদের ঠিকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না। শিক্ষা জীবন থেকে পিছিয়ে পড়ছি। আমরা আর পিছিয়ে পড়তে চাই না। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আমরন অনশন চলবে। এব্যাপারে নীলদলের সভাপতি আপেল মাহমুদ ও শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, শিক্ষার্থীদের এসব যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের পুর্ন সমর্থন রয়েছে। আমরা চাই শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখে আন্দোলন। কিন্তু আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ুক এটা আমরা চাই না। তাই তাদের দাবি সমুহ মেনে নেওয়া জন্য বিশ্ববিদ্যাালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাই। সেই সাথে  আন্দোলনকারিদের আন্দোলন প্রত্যাহারেরও দাবি জানাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top