সকল মেনু

চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে নাশকতা, বিজিবির চেষ্টায় নস্যাৎ

নাশকতা চেষ্টায় নস্যাৎনিজস্ব প্রতিবেদক : বন্দরনগরী চট্টগ্রামে চলন্ত ট্রেনসহ বিভিন্ন স্থানে একযোগে পেট্রোল বোমা হামলার পর লুটপাট চালানোর মতো বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল দুর্বৃত্তরা। এমনকি ক্ষতির মাত্রা বাড়াতে পেট্রোল বোমায় যুক্ত করা হয় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক।

একই সাথে বাধার মুখোমুখি হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে আঘাতেরও প্রস্তুতি ছিলো তাদের। তবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে বিজিবি।

বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই নগরীতে ঘটছে নানা ধরণের নাশকতার ঘটনা। তবে এর কোনটি প্রাণঘাতী ছিলোনা। কিন্তু এবার দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পনা নেয় ভয়াবহ নাশকতা সৃষ্টির। এর মধ্যে চলন্ত ট্রেনে হামলা চালিয়ে লুটপাটের পরিকল্পনা যেমন ছিলো, তেমনি ছিলো জনাকীর্ণ এলাকায় হামলা চালানো।

আর হামলায় ব্যবহারের জন্য নগরীর টাইগার পাস রেলওয়ে কলোনিতে বানানো হচ্ছিলো পেট্রোল বোমা এবং ককটেল। তবে সোমবার গভীর রাতে বিজিবির বিশেষ অভিযান সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।

বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন অতিরিক্ত পরিচালক মেজর সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘যেখানে বোমা হামলা হয় সেখানে স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর এ বিশৃঙ্খলাকে কেন্দ্র করে লুটপাটের একটি পরিকল্পনার তথ্য আমাদের কাছে ছিল।’

বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন অতিরিক্ত পরিচালক মেজর তানভীর মাহমুদ জানান, ‘আমার নিশ্চিত যে তাদের এই রেল লাইনকে কেন্দ্র করে নাশকতার একটি চেষ্টা ছিল।’

পেট্রোল বোমা, ককটেল এবং ধারালো অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটককৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও অভিযানে অংশ নেয়া বিজিবি কর্মকর্তারা তা মানতে নারাজ।

এদিকে ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে দুষ্কৃতিকারীরা পেট্রোল বোমায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এক্ষেত্রে বিজিবি কর্মকর্তারা বলছেন,এ পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের পর যেমন আগুন ভয়াবহ রূপ নেবে, তেমনি স্প্লিন্টারের কাজ করবে ভাঙা বোতলের টুকরোগুলো।

বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন অতিরিক্ত পরিচালক মেজর সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এই বোতলগুলোর ভেতর পেট্রোল ছাড়াও কিছু সাদা রঙ্গের পদার্থ রাখা হয়েছে। আমরা ধারনা করছি যে, বোমার শক্তিকে আরো বাড়ানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে।’

আটককৃত ৬ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top