সকল মেনু

অবরোধ-হরতালে বিপর্যয়ের মুখে খুলনার পোল্ট্রি শিল্প

পোল্টীদেশ প্রতিদিন ডেস্ক : সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ আর হরতালে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে খুলনার পোল্ট্রি শিল্প। উৎপাদিত মুরগীর মাংস, ডিম, একদিনের মুরগীর বাচ্চা, ফিড ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী বাজারে সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় পোল্ট্রি ফিস ফিড মালিক সমিতির কর্মকর্তারা, চলমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভর্তুকি দাবি করেছেন।

খুলনা জেলায় পোল্ট্রি ফিড খামারের সংখ্যা ৪ হাজার ৯শ’ ৫২টি। এসব খামারে উৎপাদিত ডিম ও মুরগীর মাংস এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু টানা অবরোধে ব্যবসায়ীরা উৎপাদিত পণ্য বাইরে পাঠাতে পারছেন না।

এতে খামারীদের চড়া দামে উৎপাদিত উপকরণ ক্রয় ও ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে কম দামে উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে হচ্ছে।

খামারীরা বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। একদিকে যেমন কমদামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে অন্যদিকে মুরগির খাবারও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। হয়তো ডিমের দাম বাড়াতে হবে নয়তো খাবারের দাম কমাতে হবে। তা না হলে আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে যাবে।’

তারা আরও বলেন, ‘মুরগী ঢাকায় বা অন্যান্য জায়গায় পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাম কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্যবসায় ধস নামবে। আমাদের সর্বনাশ ছাড়া কোনো পথ নেই।’

এদিকে, অবরোধে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুরগীর বাচ্চা বিক্রেতা ও খাবার ব্যবসায়ীরা।

এ সম্পর্কে তারা বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে এমন সমস্যা যে ডিম বাইরে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। যাতায়াত খরচ বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু ডিমের দাম বাড়ছে না। বরং কমদামেও ডিম বিত্রিু হচ্ছে না। এদেকে মুরগীর খাবার তো ঠিকই কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে চরম ক্ষতির মধ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য।’

অন্যদিকে, এ শিল্পের চলমান ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভর্তুকি দাবি করেছেন পোল্ট্রি ফিস ফিড মালিক সমিতির কর্মকর্তারা।

পোল্ট্রি ফিস ফিড মালিক সমিতির মহা-পরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ মুরগীর খাবার ও ওষুধ সামগ্রী পূর্বের দামে আর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে যাচ্ছে। এতে খামারীদের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে খামারী ও ব্যবসায়ী আমরা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

সংশ্লিষ্টদের দাবি ৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুলনার পোল্ট্রি শিল্পে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top