সকল মেনু

সুন্দরবন থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার

tiger_sundarbansখুলনা ব্যূরো : বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন থেকে অতি দ্রুত বিলুপ্ত হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গত ১০ বছরে অর্ধেকেরও বেশী সংখ্যক বাঘ হ্রাস পেয়ে বর্তমানে মাত্র দু’শটির মত বাঘের অস্থিত্ব রয়েছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে। চলতি ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বনে বাঘ শুমারী প্রকল্পের একেবারেই শেষ সময়ে সংশ্লিষ্টরা এমন তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০০৪ সালে ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বাঘের পদ চিহ্নের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত পাগ মার্ক পদ্ধতির জরিপে সুন্দরবনে ৪৪০টি বাঘের অস্থিত্বের তথ্য জানানো হয়েছিল। তবে এত অল্প সময়ে সুন্দরবন থেকে বাঘের আশংকাজনক হ্রাসকে জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, আবাসস্থল নষ্ট, খাদ্য সংকট ও সর্বোপরী চোরা শিকারীদের ব্যাপক অপতৎপরতাকে দায়ী করছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা।বনবিভাগ জানায়, সর্বশেষ বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বণ্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ গত বছর থেকে দু’বছর মেয়াদে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে “টাইগার পপুলেশন ইস্টিমেশন ইউজিং ক্যামেরা ট্র্যাপিং মেথড ইন সুন্দরবনস, বাংলাদেশ” প্রকল্পের আওতায় বাঘ গণনার কাজ চলছে। প্রকল্পটির প্রধান পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের বাঘ শুমারীর সমন্বকারী এবং ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতির উদ্ভাবক অধ্যাপক ঝালা। গত বছর প্রকল্প শুরুর প্রথম দফায় সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্ব ব্লকের ৭০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বাঘ গণনার কাজ শেষ হয়েছে। ব্লক দু’টিতে কর্মকর্তারা প্রাথমিক ভাবে ৩০ টির মত বাঘের অস্থিত খুঁজে পেয়েছেন। এরপর ২য় দফায় তারা সুন্দরবনের দক্ষিণ ব্লকের ৬৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় গণনার কাজ শুরু করেছেন। ব্লকের নীলকমল অঞ্চলের ৩৪ টি পয়েন্টে ৬৮ টি ক্যামেরা বসিয়ে ঐ কার্যক্রম চলছে। প্রকল্পে ঐ দলে মোট ২৬ জন কর্মী রয়েছেন।খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও প্রকল্পের অন্যতম কুশীলব জাহিদুল কবির বলেন, শুমারীতে ব্যবহৃত ক্যামেরাগুলোতে ক্যামোফ্লেজ রংকরা রয়েছে, যা সারাক্ষণই চালু থাকে। ক্যামেরাগুলোর সামনে কোন প্রকার নড়াচড়া ধরা পড়লেই তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছবি তোলে। ছবিগুলো অটোমেটিকভাবে একটি মেমোরি কার্ডে জমা হয়। প্রকল্পের কর্মীরা প্রতি ৫ দিন পরপর সেখানে গিয়ে ব্যাটারীগুলো ও মেমোরি কার্ড খুলে পুনরায় নতুন ব্যাটারী ও মেমোরি কার্ড লাগিয়ে দিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে নীলকমলের পয়েন্টগুলোতে ৫/৬ টি বাঘের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে।প্রকল্প সূত্র জানায়, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৩৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নমুনা অঞ্চল ধরে চলছে বাঘ গণনার কাজ। পরে তথ্য ও নমুনাকে বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে গোটা সুন্দরবনের বাঘের চুড়ান্ত সংখ্যা নির্ণয় করা হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে এই ছবি তোলার কাজ। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছরের জুন-জুলাই নাগাদ সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ঠিক কি পরিমান বাঘ রয়েছে তার একটা চুড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে।এদিকে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ থেকে দ্রুত বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার পাশাপাশি বাঘ শিকারী চক্রের ব্যাপক অপতৎপরতাকে চিহ্নিত করেছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা। গত ১৪ জানুয়ারি ১৫’ র‌্যাব-৮ এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে সুন্দরবনে মোট ৬ টি বাঘ শিকারী চক্র তৎপর রয়েছে। যার ২ টি চক্র ইতোমধ্যে চিহ্নিত হলেও বাকী ৪ টি চক্রের সন্ধানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান ঐ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানান,সংঘবদ্ধ বাঘ শিকারী চক্র বাঘ শিকার করে প্রথমত স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র তা ঢাকায় পাঠায়। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে হাত বদল হয়ে বাঘের চামড়া,দাঁত,নখ ও হাড়সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো চড়ামূল্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে দেয়। র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফরিদুল আলম জানান,১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নব্বইরশি বাস স্টান্ডের পাশে থেকে ৯ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা একটি বাঘের চামড়া,২৪ খন্ড হাঁড়,২৯ টি দাঁত ও ১ টি বাঘের মাথা উদ্ধার করে। এসময় ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে জানায়,তারা বাঘ শিকারের সাথে জড়িত। সুন্দরবন থেকে ফাঁদ পেতে বাঘ ধরে পরে গুলি করে হত্যা করে পাচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় বলেও জানায় তারা।সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগীয় কর্মকর্তা আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান,শিকারীরা বাঘ শিকারে খাবারে বিষ ও ফাঁদ পদ্ধতি (বেঁধ ও তীর জাতীয়) বেশি ব্যবহার করে। তিনি এসময় আরো বলেন,প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকায় অনেক শিকারী আটক ও কয়েকটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে। ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত পূর্ব বন এলাকায় ৯ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১৪ সারের ১৬ অক্টোবর সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা-কালীগঞ্জ সড়কের ইটাগাছা সংগ্রাম টাওয়ারের সামনে থেকে ২ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে। এসময় জড়িত ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ বনানীর একটি বাড়ি থেকে ১ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করে পুলিশ। ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ১ টি বাঘের চামড়া সহ ১ পাচারকারীকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার বাবু বাজার এলাকার মোসলেম গাজীর বাড়ির বাগান থেকে মাটির নীচে পুঁতে রাখা বাঘের মাথার খুলি ও হাঁড় উদ্ধার করা হয়। ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বাংলা বাজার গ্রাম থেকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৩ টি চামড়া,৪ টি মাথা ও বিপুল সংখ্যক হাঁড়-গোড় উদ্ধার করে উদ্ধারকৃত চামড়া ৩ টির দৈর্ঘ্য যথাক্রমে লেজ থেকে মাথা পর্যন্ত ১০ ফুট ২ ইঞ্চি,৯ ফুট ৯ ইঞ্চি ও ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি, ১৩৮ টুকরা হাড় যার ওজন ৩১ কেজি। এসময় আটক জামাল ফকির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিল তিনি ও তার ১০/১২ জন সঙ্গী প্রায় দেড় মাস ধরে পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হরিনটানা এলাকা থেকে বিষ টোপ দিয়ে বাঘ ৩ টি শিকার করে।
বণ্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল কবির জানান, আর্ন্তজাতিক বাজারে বাঘের চামড়া ,হাঁড় ও দাঁতের মূল্য খুব বেশী। ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে এর চাহিদা বেশী। আমাদের দেশে একেকটি বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ৫/১০ লাখ টাকায় বিক্রি হলেও আর্ন্তজাতিক বাজারে এর একেকটির মূল্য ২০ থেকে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত বিক্রি হয়। ইস্ট এশিয়া বিশেষ করে চীন,ভিয়েতনাম,কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়ায় বাঘের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ওষুধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয় বলে জানাগেছে। এছাড়া এদিয়ে মহৌষধ তৈরীর চেষ্টাও অনেক রাষ্ট্রে অব্যাহত রয়েছে। তিনি বাঘ শিকারে বন দস্যুদের সম্পৃক্ততায় উদ্বেগের পাশাপাশি তাদের দমনে পর্যাপ্ত শক্তি ও সামর্থ বন বিভাগের নেই বলেও জানান।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়,সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বাগেরহাটের শরণখোলা, রামপাল,মংলা,মোড়েলগঞ্জ,বরগুনার পাথরঘাটা,চরদুয়ানী। পশ্চিম বনবিভাগে খুলনার পাইকগাছা,দাকোপ,কয়রা,সাতক্ষীরার গাবুরা,আশাশুনি,শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ এলাকায় সংঘবদ্ধ বাঘ শিকারী চক্রের অস্থিত্ব রয়েছে। যারা চোরা পথে অথবা জেলে-বাওয়ালীর পারমিট নিয়ে বনে প্রবেশ করে সংঘবদ্ধ ভাবে মেতে উঠে বাঘ শিকারে।
অন্যদিকে চলতি ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে বাঘ শুমারীতে কর্মকর্তারা ক্যামেরার সামনে বাঘকে আকৃষ্ট করতে ছাগল টোপ ব্যবহার করছেন। তবে বনবিভাগ বলছে টোপ হিসেবে ছাগল নয়,ফেরোমেন ট্র্যাপ নামে একধরনের ফাঁদে বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে বাঘকে আকৃষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশ বণ্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন,২০১২ অনুযায়ী বাঘকে কোন গৃহপালিত প্রাণী দেয়া নিষিদ্ধ একই সাথে উৎপাদিত কোন খাবার বা রাসায়নিকের ব্যবহারও অনুমোদন করা হয়নি। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে,এতে বাঘের শারীরিক ও মানষিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আচরণগত পরিবর্তনও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে জাতীয় এই প্রাণীটির অস্থিত্বের উপরও হুমকি হতে পারে টোপ পদ্ধতি। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাজী আসমত এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন,ছাগল এবং ফেরোমেন ট্র্যাপ বা ঘ্রাণ দু’ই বাঘের জন্য ক্ষতিকর। ছাগলের মাধ্যমে বাঘের শরীরে রোগজীবানু প্রবেশ ও কৃত্রিম ঘ্রাণে বাঘকে আকৃষ্ট করে,যা শুঁকে বাঘ তার সঙ্গিনী বা অন্য কোন প্রাণীর দেখা পেয়ে থাকে। এতে করে বাঘ প্রতারিত হয়ে তার স্বাভাবিক চিন্তা ও আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে বন সংরক্ষকরা ছাগল টোপ ব্যবহারের বিষয়টিকে এড়িয়ে গেলেও শুমারীর প্রধান পরামর্শক ভারতের বণ্য প্রাণী ইন্সিটিউটের বিজ্ঞানী অধ্যাপক জাতভেন্দ্রদেব ঝালা টোপ হিসেবে ছাগল ব্যবহারের কথা স্বীকার করে ইতোপূর্বে বলেছিলেন,ক্যামেরা ফাঁদ পদ্ধতিতে বাঘ গণনা অত্যন্ত কঠিন এতে অনেক বছর লেগে যেতে পারে। তাই শুমারীটি দ্রুত এগিয়ে নিতে ছাগলকে টিকা দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে তা কেটে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে পাগ মার্ক পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০ টি বাঘের অস্থিত্বের কথা জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ৮৯ টি পুরুষ বাঘ,১৭০ টি স্ত্রী ও ১২ টি বাঘের বাচ্চা ছিল। বাগেরহাটের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ৩২ টি পুরুষ বাঘ,১২৮ টি স্ত্রী ও ৯ টি বাচ্চার অস্থিত্ব ছিল। ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকায় চোরাশিকারী ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে মোট ৭০ টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ। আইইউসিএস ২০১০ সালে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করে আগামী ২০২২ সালে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে বাঘের আবাসস্থল হিসেবে চিহিৃত বাঘ সমৃদ্ধ ১৩ টি দেশের বনাঞ্চলগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা,বাঘের আবাসস্থলগুলোকে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের মূল আধার হিসেবে চিহিৃত করে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ,বাঘ সমৃদ্ধ বনাঞ্চলে কোন শিল্প কারখানা স্থাপন,খনিজ পদার্থ উত্তোলন বা পরিবেশ দূষণের মত কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করা যাবেনা বলে নির্দেশ দেয়া হয়। এমনকি বনাঞ্চলের চলমান টহল ব্যবস্থাকে উন্নত করে বাঘ ও বাঘের শিকার প্রাণীর নিধন বন্ধ ও বাঘ সংরক্ষণে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে বাঘ রক্ষায় কোন পদক্ষেপই বিশেষ প্রভাব ফেলেনি। বরং বাঘ ধ্বংসে চক্রগুলো আরো বেশী সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ বাঘ রক্ষায় সরকারকে আরো বেশি যত্নবান বিশেষ করে চোরাশিকারীদের প্রতিরোধে টহল জোরদার,বাঘের আবাসস্থল সংরক্ষণ ও বাঘের শিকার নিধন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top