সকল মেনু

ট্রাফিক বিহীন শহরের গল্প

thimpuহট নিউস ডেস্ক : সারা বিশ্বের একমাত্র ট্রাফিক বাতিহীন শহর থিম্পু। পুরো থিম্পু শহরে রয়েছে একটি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ স্ট্যান্ড। যা আবার একেবারে নিজস্ব ঢংয়ে। তবে, ভুটানে ট্রাফিক বাতি না থাকলেও জনগণের সচেতনতার জন্য এখানে যান নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে বলে দাবি করেন থিম্পুর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। আর থিম্পুর এই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ দেখতে অসংখ্য পর্যটক এসে এখানে ভিড় করেন।

আসলেই ভুটানের রাজধানী থিম্পুকে সারা বিশ্বে আলাদা করেছে এই ট্রাফিক ব্যবস্থা। ২ হাজার ৬৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তন থিম্পু শহরের। যেখানে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় ৩৭ হাজারেও বেশি ছোট বড় গাড়ী। মজার ব্যাপার একেবারে নিজস্ব নিয়মেই গাড়ীগুলো যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

যদিওবা থিম্পু শহর পাহাড় কেটে তৈরি। তারপরও এখানকার রাস্তা বেশ প্রশস্ত। তার চেয়ে বড় ব্যাপার, এখানকার জনগণ ট্রাফিক আইন নিয়ে বেশ সচেতন। লোকজন জেব্রা ক্রসিং ছাড়া রাস্তা পার হয় না। এমনকি ফুটপাত ছাড়া মানুষ হাটেও না।

এই কারণেই সম্ভব হয়েছে বাতিহীন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ। কিন্তু দিন দিন গাড়ীর সংখ্যা বাড়ছে ভুটানে। তারপরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয় এই বিশেষ ব্যবস্থার ট্রাফিক পুলিশকে। দিনে দু’জন একমাত্র ট্রাফিক স্ট্যান্ডে পালাক্রমে যান নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকেন। কিন্তু এভাবে কতদিন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? এমন প্রশ্নে, আত্মবিশ্বাসী থিম্পুর ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা।

ভুটান ট্রাফিক পুলিশ কমান্ডার বলেন, ‘দেখুন এভাবে যান নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের ঐতিহ্য। এখানে ট্রাফিক বাতি না থাকলেও, পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। কেউ অন্যায়ভাবে পার্কিং ও গাড়ী চালালে সঙ্গে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, এই এনালগ পদ্ধতির ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অনেক লোক এটা দেখতে আসে।’

এদিকে, থিম্পু’র মেইন ট্রাফিক পয়েন্টের এই ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছে চালক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ জন। চালকরা বলছেন, আইনের কড়াকড়ির জন্য তারা এই ব্যবস্থাকে শ্রদ্ধা করেন। এছাড়া এ নিয়ে তারা গর্বও করেন।

ড্রাইভাররা জানান, ‘ট্রাফিকের এ পদ্ধতিটি খুব ভাল। এতে করে যানজটের কোনো সমস্যা হয় না। এই ট্রাফিক ব্যবস্থাটি ইউনিক। আমরা এই ব্যবস্থা মানি, এতে আমরা সন্তুষ্ট। এখানকার ট্রাফিক আইন অনেক কঠিন

থিম্পুর জনগণ জানান, ‘এটি আমাদের ঐতিহ্য। এই ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখতে অনেক মানুষ আসে। আমরা এটিকে নিয়ে গর্ব করি।’

আর থিম্পুর এই অভিনব ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখতে অসংখ্য পর্যটক এখানে ভিড় করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top