সকল মেনু

মজুরী দিতে হিমশিম খাচ্ছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক সহিংসতায় চা শিল্পের ক্ষতির আশংকা

Tea gardenএম শাহজাহান আহমদ, মৌলভীবাজার: চলমান রাজনৈতিক সংকটে কুলাউড়ার ৩৪ টি সহ মৌলভীবাজারের চা শিল্পে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। চা বাগানের উৎপাদিত চা পরিবহন সংকটের কারনে একদিকে চট্রগ্রাম ওয়ার হাউজে প্রেরন করা যাচ্ছেনা, অন্যদিকে  জ্বালানী সংকট বিশেষ করে ডিজেল সংকটের কারনে বাগানগুলিতে পানির পাম্প না চলার কারনে বিভিন্ন বাগানে ইয়াং টি মরে যাচ্ছে। শ্রমিকদের রেশন ও মজুরী দিতেও হিমশিম খাচ্ছে চাবাগান কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন চা বাগানের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলে জানা গেছে , দেশের সবচেয়ে বেশী চা বাগান মৌলভীবাজার জেলায়। দেশের ১শ ৫২ টি চা বাগানের মধ্যে শুধু মৌলভীবাজার জেলায় চা বাগানের সংখ্যা ৯২ টি। চায়ের রাজধানী হিসাবে খ্যাত  মৌলভীবাজারের সুনাম দেশের সর্বত্র। মৌলভীবাজারের উৎপাদিত চা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফ্তানী হয়েছে। বিশেষ করে জেলার গ্রীন টির কদর বিশ্বব্যাপী। কিন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে জেলার বাগানগুলিতে জ্বালানি সংকটের কারনে সেচ বন্ধ থাকায় নতুন সম্প্রসারিত চা গাছ গুলি(ইয়াং টি) মরে যাচ্ছে। পরিবহনের অভাবে উৎপাদিত চা চট্রগ্রামের ওয়ার হাউজে নিলামের জন্য পাঠানো যাচেছনা। পরিবহনের অভাবে রেশন আনতে না পারায় শ্রমিকদের রেশন দেওয়া যাচ্ছেনা এবং চা নিলাম না হওয়ায় টাকার অভাবে শ্রমিকদেরকে বেতন ভাতাদি পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চা বাগান কর্তৃপক্ষকে। এ ব্যাপারে রোজ টি কোম্পানীর মালিকানাধীন রাঙ্গিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক ওয়াহিদউজ্জামান জানান, অবরোধের শুরু থেকে ট্রান্সপোটের অভাবে চট্রগ্রামে বাগানের উৎপাদিত চা নিলামের জন্য পাঠানো যাচ্ছেনা। ফলে বাগানে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এ অবস্থা সিলেটের সবকটি চা বাগানে। এ সমস্যা দ্রুত নিরসন না হলে চা শিল্পে আরও তীব্র সংকট দেখা দিবে। এ ব্যাপারে ইস্পাহানী গ্র“পের মালিকানধীণ গাজিপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক কাজল মাহমুদ জানান, তাদের নিজস্ব পরিবহন থাকায় পূর্বে উৎপাদিত চা চট্রগ্রাম ওয়ার হাউজে নিলামের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে জ্বালানি সংকটের কারনে বাগানের সেচ পাম্পগুলি বন্ধ রয়েছে। ফলে ইয়াং টি গুলি মরে যাচ্ছে। তাছাড়াও পরিবহন সমস্যার কারনে শ্রমিকদের রেশন  আনা যাচ্ছেনা। এ অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে চা শিল্পে ভয়াবহ সংকট দিবে তিনি আশংকা করেন।
লংলা ভ্যালীর চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, অবরোধের কারনে পরিবহন সমস্যায় বিভিন্ন বাগানের উৎপাদিত চা চট্রগ্রাম নিলামে পাঠাতে না পেয়ে কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। তবে কি পরিমান বাগান ক্ষতি সম্মুখিন হচ্ছে তা আগামী সভায় নিরূপন করে এর প্রতিকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top