সকল মেনু

মৌলভীবাজারের জুড়ীর হাবিবুর রহমানের সবজি বিপ্লব

Juri-21এম শাহজাহান আহমদ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জাঙ্গিরাই গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান নিজের কৃষি জমির পাশে পাশি মালিকানা জমি নিয়ে সবজি চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন তিনি। হাবিবুর রহমান মনের জোর আর নিজের শ্রমের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে তিনি এখন নিজের আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি জুড়ী সহ কুলাউড়া-বড়লেখায় তার সবজি সরবরাহ করছেন। হাবিবুর রহমানের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ২০০৪ সালে মাত্র ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে শুরু হয় জীবনযুদ্ধের। দিনের পর দিন পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের ফলশ্র“তিতে এখন তার সবজি চাষের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪০ শতাংশ। শীতকালিন আগাম মুলা, টমোটো, ফুলকপি, বাধাকপি, রাঙ্গাশাক, মরিচ, বেগুন, ধনিয়া, শালগম, পালনশাক, লাউ ইত্যাদি আবাদ করেন তিনি। বিক্রয় করেন ভবানীগঞ্জ কাঁচা বাজারে হাবিবুর রহমানের সবজি সকলের কাছে খুব জনপ্রিয়। শীত শেষ হতে না হতেই তার জমিতে বেড়ে ওঠে ডাটা, দেঁড়স, পুইশাক, পাট, কলমি শাক, করল্লা, চাল কুমড়া, চিচিংগা, ঝিঙ্গা। হেমন্তের সময় তিনি আবাদ করেন কচু, লতিকচু ও ধুন্দুল সহ অন্যান্য সবজি। সারা বছরই তার জমিতে কোন না কোন সবজি আবাদ হয়। Juri-21 (2)হাবিবুর রহমানের সবজি ক্ষেত দেখলে সত্যিই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এলাকার পতিত জমি মালিকানায় নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন সবজি বাগান। যেদিকে চোঁখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ২০১৪ সালে হাবিবুর রহমান আয় করেছেন ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, ব্যয় হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, সকল খরচ বাদ দিয়ে ৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা আয় হয়েছে। হাবিবুর রহমানের এই সাফল্য দেখে আশপাশের বেকার যুবক ও নারীরাও সবজি চাষ করার পরামর্শ নিতে ছুটে আসেন তার কাছে। তার পরামর্শে বাড়ীর পাশে নিজেদের পতিত জমিতে সবজি আবাদ করে আর্থিক উন্নতি হচ্ছে গ্রামের অন্যান্য লোকজনদের। জুড়ী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মির হোসেন ভূইয়া বলেন, সবজি চাষী হাবিবুর রহমান  জাঙ্গিরাই গ্রামের একজন মডেল সবজি চাষী। সারা বছরই তিনি সবজি আবাদ করেন। প্রথমদিকে সবজিতে কীটনাশক ব্যবহার করলেও আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি এখন আর রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যহবার করছেন না। এর পরিবর্তে জৈবসার ও আইপিএম পদ্ধতিতে বালাই দমন করেন। ফলে তার উৎপাদিত সবজির বাজারে যেমন চাহিদা, মূল্যও তেমন বেশী। তিনি জানান, সবজি চাষ করেই হাবিবুর রহমান শূণ্য থেকে লাখপতি হয়ে গেছেন। এতে তার জীবনের মোর যেমন ঘুরেছে, তেমনি এসেছে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং বৃদ্ধি পেয়েছে সামাজিক মর্যাদাও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top