সকল মেনু

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ মেলায় চলছে নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনী

Garments Acssনিজস্ব প্রতিবেদক : গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং মেলায় নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শনীকে ইতিবাচক ভাবে দেখছেন উদ্যোক্তারা। তাদের মতে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্ব প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বছরে একাধিকবার এ ধরণের আয়োজন করা উচিত।

আর দেশীয় পণ্যের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের সরাসরি পরিচয়ের এমন ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে পারলে তৈরি পোশাকখাতকে আরও এগিয়ে নেয়া সহজ হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তৈরি পোশাকখাতের নানা যন্ত্রপাতি আর টুকিটাকির মেলা বসেছিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। বাহারি রংয়ের সুতা, বোতাম যেমন স্থান পেয়েছে তেমনি ছিল ভারী যন্ত্রাংশও।

মেলায় অংশগহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানালো, পোশাক রফতানির পাশাপাশি গার্মেন্টস এক্সেসরিজেও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এমনকি বিদেশেও এখন পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় পণ্য।

অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘পোশাক তৈরির কাঁচামাল পুরোটাই আমদানিনির্ভর ছিল, এখন এর কিছু আমরা নিজেরা তৈরি করছি। বিশেষ করে স্টিকার-পেপার যার শতভাগই  আমদানি করা হতো। এসব পণ্যের মান ও দাম বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। যেমন সবচেয়ে কমদামে বিত্রিু করে চীন। তাদের চেয়েও কমে আমরা বিত্রিু করছি।’

বাংলাদেশকে বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্ভবনাময় মনে করায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো এসেছিল ব্যবসার পরিসর বাড়াতে।

অংশগ্রহণকারী চীনের একটি স্টলের কর্মকর্তা জানান, ‘এখানে বাজার ভালো, এখানে অংশগ্রহণ করে আমরা সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাই।’

আর একই ছাদের নিচে বিশ্বের নামকরা সব প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি, নতুন নতুন প্রযুক্তির সন্ধানের এমন সুযোগকে কাজে লাগাতে মেলায় এসেছিলেন নতুন উদ্যোক্তারাও।

উদ্যোক্তারা বলেন, ‘বেশ কিছু পণ্য আসছে যেগুলো আমাদের সনাতন পণ্যের চেয়ে অনেক ভালো। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে যেগুলো এক বছর পরে আসলে আমরা একবছর পরেই পেতাম। ছয়মাস পরে আসলে তখনই পেতাম।’

চারদিনের এই আয়োজনে প্রদর্শনীর পাশাপাশি ছিলো এ শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা সভাও। যেখানে উদ্যোক্তাদের দেশীয় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবহারে উৎসাহিত করাসহ আমদানি নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top