সকল মেনু

অবরোধের কারণে রংপুরে জ্বালানি তেল সংকটের আশংকা

রংপুরইকবাল হোসেন, রংপুর প্রতিনিধি : অবরোধের কারণে সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় পেট্রোলপাম্পগুলো জ্বালানী তেল সংকটে পড়েছে। রংপুর, পার্বতিপুর, চিলমারী ও বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে তেলে সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন সংকটে দেখা দিয়েছে। ফলে মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা পড়েছে বেকায়দায়। এভাবে থাকলে আসন্ন বোরো আবাদও হুমকির মধ্যে পরবে বলে আশংকা করছে কৃষকরা।
জানা গেছে, অবরোধের কারণে সরবরাহ ব্যাবস্থা ও পরিবহন সংকটে ফলে রংপুর, চিলমারী ও পার্বতিপুরের তেল ডিপো তেল সরবরাহ শুন্যের কোঠায় ঠেকেছে। পার্বতীপুর অবস্থিত ১ কোটি ১১ লাখ লিটার (ডিজেল) ধারণ ক্ষমতার পার্বতীপুর রেলহেড অয়েল ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলায় প্রায় দেড়শ ডিলার এবং সোয়া দুশ এজেন্টের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অধীনে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এটি পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে পার্বতিপুরের এ ডিপোতে তেলের যথেষ্ট মজুদ থাকলেও সরবরাহ হচ্ছে না । চিলমারী ডিপোতে  প্রায় ৭ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতার বিপরিতে মজুদের পরিমান কমতে শুরু করেছে। অবরোধের কারণে সেখান থেকেও তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পরিবহনের কারণে রংপুরে ২ লাখ ৬৮ হাজার লিটার পেট্রোল এবং ৬ লাখ লিটার ডিজেল ধারন ক্ষমতার ডিপোগুলো থেকে তেল সরবরাহ হচ্ছে কম। তবে পুলিশী প্রহরার মাধ্যমে তেল সরবরাহ করে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ডিপো ইনচার্জরা।
ডিসেম্বরের শেষ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ভরা সেচ মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হয়। এ অঞ্চলে সেচ মৌসম শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল সংকচট দেখা দিয়েছে। সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম থেকে খুলনা এবং সেখান থেকে রেল ট্যাংকারে করে জ্বালানি তেল পার্বতীপুরে এসে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৫-২০ দিন। চিলমারী ডিপোতে যেতে সময় আরো বেশি লাগে। রংপুর ডিপোতে তেল এসেছে গত মাসে। এ মাসে তেল আসবে কি-না এনিয়ে সংশয় রয়েছে।
মীরবাগের কৃষক মোস্তফা মিয়া জানান, এভাবে অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল না করলে তেল সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হবে। তাই এ অবস্থা বেশিদিন থাকলে তেল সংকট দেখা দিতে পারে। আর এতে করে সেল সংকট দেখা দেবে।
আব্দুল্লাহ ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার ঝন্টু মিয়া তেল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, তাদের পাম্পে তেল রয়েছে। তবে এই অবস্থা আরো দুএকদিন চলতে থাকলে তেল সংকটে পড়বে তারা।
রংপুর যমুনা ওয়েল কোম্পানির সিনিয়র সেলস অফিসার সাইদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ প্রহরায় তেলবাহি গাড়িগুলো দিয়ে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। তেলের মজুদ যথেষ্ট পরিমান রয়েছে বলে তিনি জানান।  তবে পরিবহনের কারণে পাম্পগুলোতে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে এ সংকট থাকবে না।
পার্বতিপুর তেল ডিপোর ইনচার্জ শাহজাহান হাওলাদার জানান, তেলের কোন সংকট নেই। প্রধান সমস্যা হচ্ছে পরিবহনের । বিভিন্ন স্থানে পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top