সকল মেনু

খালেদা জিয়ার অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণ সাড়া দেয়নি

Manonকামরূল আহসান, ঢাকা : ৫ জনুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ নামে খালেদা জিয়া দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে এই অবরোধ। খালেদা জিয়ার এই অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি বলে উল্লেখ করেন রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন “৫ জানুয়ারী ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল মুক্তিযুদ্ধের অর্জন ও গণঅধিকার রক্ষা এবং সংবিধান ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার নির্বাচন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে তখনকার বিরোধী দলের প্রতি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বারংবার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু বিএনপি ও তার রাজনৈতিক মিত্র জামাত ইসলামী ঐ নির্বাচন বর্জন ও বানচাল করতে অপচেষ্টা চালায়। সারাদেশে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে জনগণকে ভয় দেখিয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেয়। কিন্তু তাদের সেই চক্রান্ত জনগণ সফল হতে দেয়নি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।”

আজ বিকেল ৪টায় তোপখানা রোডস্থ শহীদ আসাদ মিলনায়তনে জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন। কমরেড মেনন বলেন, সেদিন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার মিত্র জামাতে ইসলামী নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে অসাংবিধানিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে দম হারিয়েছিলেন। এক বছর পর আবার দম নিয়ে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচী পালনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছিলেন। কিন্তু তার এই কর্মসূচীতে জনগণ সাড়া দেয়নি। ঢাকায় তার দলের নেতা কর্মীরা পূর্বের ন্যায় আন্দোলনের হুমকি ধামকি দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। অন্যদিকে তার রাজনৈতিক মিত্র জামাত-শিবির চোরা গুপ্তা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। কমরেড মেনন বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কর্মীরা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির যে কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র জনগণকে সংগঠিত করে প্রতিরোধ করবে।

কমরেড মেনন তার বক্তব্যে গতকাল লন্ডনে তারেক জিয়া, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তাঁকে চরম বেয়াদপীপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, এই অর্বাচীন ছাত্র জীবনে কোন সংগঠনে যুক্ত ছিল না, যার রাজনৈতিক উত্থান আকস্মিক, ইতিহাস সম্পর্কে সে অজ্ঞ মূর্খ্য, সে বেয়াদবই নয় বিশ্ববিয়াদব। তার পক্ষেই মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতী ও তার স্থপতি সম্পর্কে এ ধরনের ধৃষ্ঠতা বক্তব্য রাখা সম্ভব।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুর্শিদা আক্তার নাহার। সভায় আরও বক্তব্য্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি মোস্তফা আলমগীর রতন, সাধারণ সম্পাদক সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, গার্হস্থ্য নারী নেত্রী আমেনা বেগম, আঞ্জুমান আরা, মুঞ্জু আরা, শাহানুর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top