সকল মেনু

ঘটনাবহুল আরো একটি বছরের অবসান

79789_2014হট নিউজ ২৪ ডেস্ক : খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে আরো একটি নতুন বছরের আগমনি বার্তা। সেই সাথে বৃহস্পতিবার পূবের আকাশে নতুন ভোরে সূর্যদোয়ের আগেই মহাকালের গর্ভে চিরতরে হারিয়ে যাবে ঘটনা বহুল ২০১৪। সময়ের হিসেবে মহাকালের গর্ভে হারিয়ে গেলেও নানা ঘটনা আর অঘটনার মধ্যদিয়ে দীর্ঘকাল আমাদের স্মরণে থাকবে এই সালটি। রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক ও সর্ম্পকের টানাপোড়েনসহ ঘটনাবহুল ২০১৪ সালে আমাদের কারো হিসাবের খাতায় জমা হয়েছে অনেক অনেক সাফল্য, স্মরণীয় দিন। আবার কারো হিসাব ব্যর্থতা, হাহাকার আর শোকে কষ্টে ভরা

বছর জুরে রাজনৈতিক অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা, গুম-খুন, রাহাজানি, অর্থনৈতিক স্থবিরতার মধ্য দিয়েই পার হয়েছে ২০১৪ সালটি। অনিশ্চয়তা আর অস্থিরতার মধ্য দিয়েই জাতি প্রস্তুত নতুন আরেকটি বছর বরণে।

জাতীয় নির্বাচনে শুরু:
২০১৪ সালটি শুরু হয়েছিল চরম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা মধ্য দিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিরোধী দল ও মতের তোয়াক্কা না করেই আয়োজন করে দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন। মূলত দেশের বেশিরভাগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে একতরফা ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে প্রার্থী না থাকায় ১৫৩ টি সংসদীয় আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচন হয়। বাকীগুলোতে প্রত্যক্ষ ভোট হলেও কার্যত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের আমেজ ছিলনা, ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। ঐ নির্বাচনে ভোটের হারও ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে কম। মূলত বিজয়ী দল হিসেবে আওয়ামীলীগের সরকার গঠন, মন্ত্রীসভায় কাগুজে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ ছিল গেল বছরের রাজনৈতিক বিতর্কের প্রধান ইস্যু। বছর জুড়েই দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন।

অর্থনৈতিক স্থবিরতা:
গেলো ২০১৪ সালটি ছিল অর্থনৈতিক স্থবিরতার বছর। রাজনৈতি অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ আসেনি। দেশী বিনিয়োগও হয়নি উল্লেখযোগ্যহারে। বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় টানা দুই মাসের হরতাল-অবরোধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতি। অর্থনীতির সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। নেয়া হয়নি বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ।

বিনিয়োগ বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত বিনিয়োগ সংখ্যা ছিল ১৪৬টি, গত অক্টোবরে তা নেমে এসেছে ৭৫টিতে। সেপ্টেম্বরে যেখানে স্থানীয় কর্মসংস্থান হয়েছিল ১৬ হাজার ৭৬৪ জনের, সেখানে অক্টোবরে তা নেমে এসেছে ৭ হাজার ১৬৪ জনে। এক মাসের ব্যবধানে স্থানীয় কর্মসংস্থান কমেছে সাড়ে ৯ হাজার বা প্রায় ৫৭ শতাংশ। অন্যদিকে বিদেশী কর্মসংস্থান ১ হাজার ৮২৯ জন থেকে নেমে এসেছে সাড়ে ৭শ’ জনে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৮৩ কোটি ডলার। যা  গত বছর একই সময়ে ছিল ৯৯ কোটি ডলার।

গুম-খুন আতঙ্ক:
বছরজুরে গুম-খুন ও অপহরণ আতঙ্কে ছিল দেশবাসী। বিশেষ করে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা গুমের শিকার হয়েছেন বেশি। ক্রসফায়ারের ঘটনাও ঘটেছে। বছরজুড়ে আলোচনায় ছিল নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা। অপহরণের পর নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে র‌্যাব সদস্যরা। বছরের শুরুর দিকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে এমন নির্মম হত্যাকা-ের ঘটনাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। পুরো বছরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানারকম অপরাধে জড়িয়ে পড়ার তথ্য বের হয়েছে। পিটিয়ে হত্যার পাশাপাশি অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে সন্ত্রাসী সাজানোর চেষ্টা, ছিনতাই, অপহরণ ও মাদক পাচার করতে গিয়েও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্য ধরা পড়েছে। অপরদিকে বছরজুড়েই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুন-ছিনতাইয়ের ঘটনাও চলেছে সমানতালে। আলোচিত অনেক খুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চলতি বছরের প্রথম দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়া শীর্ষ তিন জঙ্গির দু’জনের হদিস পাওয়া যায়নি এখনও। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরজুড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নাজুক অবস্থায় ছিল। যা নিয়ে মানবাধিবার সংগঠনগুলো মাঝে মধ্যে সোচ্চার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

প্রশ্ন ফাঁস আর বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড় :
বিদায়ী বছরে শিক্ষাঙ্গনের নানা ঘটনা আলোচিত-সমালোচিত হয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছে বহুবার। ছাত্রলীগের বেপরোয়া কর্মকা- সারা বছর ধরেই নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ছিল এ বছরের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনা। এসএসসি, এইচএসসি এমনকি প্রাথমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। যা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার কলঙ্কিত অধ্যায় বলেই চিহ্নিত করেছেন বিশিষ্টজনরা। পাবলিক পরীক্ষায় উচ্চ পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো, যা শিক্ষার মানকে স্বভাবতই করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও ছিল অনেকটা আলোচনায়। পিএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই জিপিও ৫ পাবার ঘটনাও ঘটেছে ২০১৪ সালে।

অন্যদিকে বিভিন্ন সময় বেফাঁস মন্তব্য করে রাজপথ ও রাজনৈতি অঙ্গন গরম করে রাখেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। এরমধ্যে বর্তমান সরকারের সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দকীর পবিত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যে দেশজুড়ে তোলপার সৃষ্টি করে। ক্ষোভে ফেটে পরে সাধারণ আপামর ধর্মপ্রান জনতা। লতিফ সিদ্দিকীকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে হরতালও পালন করে কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। সর্বশেষ লতিফ সিদ্দিকী গ্রেফতার হলেও উত্তাপ কমেনি এতটুকুও। অমিমাংসিত রয়ে গেছে লতিফ ইস্যু।

বেফাঁস মন্তব্য করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ভীত নাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নিজেদের কৌশল জনসম্মুখে প্রকাশ করে এবং ছাত্রলীগের বিসিএসের দায়িত্ব নিয়ে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের দায়িত্বশীল এই ব্যক্তি। পাশাপাশি বিরোধীদলের বক্তব্যের খোরাক তৈরী করেন তিনি।

তারেক রহমানের বেফাঁস বক্তব্যে :
গেলো বছরে জুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সমালোচনায় ছিলেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে করা তারেক রহমানের মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিশেষ করে নড়ে উঠে ক্ষমতাসীনদের ভীত।
তারেক রহমানের করা ইতিহাসের বিভিন্ন বই থেতে কোট করে তথ্য ভিত্তিক বক্তব্যে ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের আতে ঘাঁ লাগে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় আওয়ামীলীগের নেতারা। তারা বাংলাদেশে তারেক রহমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণার পাশাপাশি দেশজুড়ে একের পর এক  মানহানির দায়ে করে চলেছেঅ। এছাড়া তারেক রহমানের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগও বিএনপিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে যার সর্বশেষ পরিণতি গড়ায় গাজীপুরে ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ প্রতিহত করা হয়।

হ্যাপীর আনহ্যাপী কাণ্ড:
গেলো বছর ক্রিড়া ও বিনোদন জগতে আমাদের ভালো অনেক অর্জন সত্বেও সবকিছু ম্লান করে দেয় উঠতি মডেল হ্যাপীর আনহ্যাপী কাণ্ড। জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের অবৈধ প্রেম-পরিণয়ের সব তথ্য ফাঁস করে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
অনাকাংখিত ও অপ্রত্যাশিত হলেও হ্যাপী-রুবেলের ঘটনায় জল গড়িয়েছে অনেকদুর। শেষ পর্যন্ত তাদের ঠাঁই হয়েছে আদালতে। এছাড়া বছরের শুরুতে ক্রিড়াঙ্গনে আলোচনায় ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল ও সাকিব আল হাসান। শেষপর্যন্ত সাবিক আল হাসান দলে ফিরে অসাধারণ ক্রিড়া নৈপুন্যে দলীয় মর্যাদা ফিরে পেলেও নিষিদ্ধই থেকে যান আরেক অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ম্যাচ ফিঙিংয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গঠিত ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে তাঁকে ১০ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়।

সোনা চোরাচালনে রেকর্ড :
বিদায়ী বছরে দেশে যত স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনা ধরা পড়েছে, স্বাধীনতার পর এমনটি আর ঘটেনি। ক’দিন পরপরই বিমানবন্দরে ছোট-বড় স্বর্ণের চালান জব্দ করা হয়। এসব চোরাচালানের সঙ্গে বিমানবন্দর ও বাংলাদেশ বিমানের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানের এমডিসহ শীর্ষ পদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও গ্রেফতার করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

যাদের হারিয়েছি :
অন্যান্য ঘটনার পাশাপাশি গেলো বছরে আমরা হারিয়ে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের অনেক প্রিয় মুখ।  রাজনৈতিক, শিল্প-সাহিত্য-শিক্ষা-সংস্কৃতি-বিজ্ঞান-গণমাধ্যম জগতের বেশ কজন বরেণ্য ব্যক্তিকে হারিয়েছি আমরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, শিক্ষাবিদ সরদার ফজলুল করিম, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, সাংবাদিক এবিএম মূসা, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম, অভিনেতা খলিলুল্লাহ খান, সাংবাদিক জগলুল আহমদ চৌধূরী, বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম প্রমুখ।

দুর্ঘটনায় বছর ২০১৪:
গত বছর দেশে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনার প্রবণতা ছিল ব্যাপক।  মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে ৩ শতাধিক যাত্রীসহ পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ পিনাক-৬ আমাদের কাঁদিয়েছে বহুদিন। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বহু আপনজন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে সড়ক দূর্ঘটনার খবরও পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে বহুদিন। এসব ঘটনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তেল। সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর এর মারাত্নক প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ঘটনাও কর্তৃপক্ষের ভূমিকাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

বছরের শেষে রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের করুণ মৃত্যু এবং তাকে জীবিত উদ্ধারে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা যেমন দেশবাসীকে ব্যথিত করেছে, তেমনি জিহাদকে উদ্ধারের চেষ্টায় কিছু লড়াকু তরুণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আশাবাদী করেছে । এমন তরুণদের হাত ধরেই আমরা ২০১৫ সালে প্রবেশ করতে চাই। যারা সব ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়ে আমাদের নিয়ে যাবে সাফল্যের দুয়ারে। বিদায়ী বছরের ব্যর্থতা ও ভুল থেকে শিক্ষা নেবেন আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব এবং নতুন বছরে দেশ ও জনগণের স্বার্থ তাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে, এ প্রত্যাশা সবার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top