রাজশাহী প্রতিনিধি : গত এক মাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুটি শিশু চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, শুধু শিশু নয়, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দুই একটি ঘটলেও রোগীদের স্বার্থে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। আর চুরি ঠেকাতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেনে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।
মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু একের পর এক নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারী এই হাসপাতালটিতে নবজাতক, টাকা ও রোগীদের সাথে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা পড়ছেন বিপাকে।
সবশেষ গত সোমবার হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও আশানুরূপ কোন ফল পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলায় বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ও টাকাসহ অনেক মূল্যবান জিনিস চুরি যাচ্ছে।
এ অবস্থায় সরকারী এই হাসপাতালটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো উচিত। সিসি ক্যামেরা থাকলে নিরাপত্তা বাড়বে।
এদিকে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিতরা রোগীদের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার কথা জানালেন। রামেক হাসপাতালের আনসার সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, কোন কিছু যাতে চুরি না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখি।
অন্যদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে এমন ঘটনা কমে আসবে দাবি করে,এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা জানালেন হাসপাতালের পরিচালক।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে এম নাসির উদ্দিন জানান, ‘হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রকৃতপক্ষেই দরকার। এ ব্যাপারে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। শীঘ্রই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে পারবো।’
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালটিতে নিরাপত্তার জন্য ২৫ জন আনসার, ১৩ জন প্রহরী ও ৮ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।