সকল মেনু

ঝিনাইদহে তিন হত্যার অগ্রগতি নেই জনমনে আতংক গ্রেফতার ৭

 ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা ও কোটচাঁদপুর রোববার পৃথক ঘটনায় তিন ব্যক্তির হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোন অগ্রগতি হয়নি। মামলা হলেও ঘাতক চক্রের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। রোববার শৈলকুপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের মফিজ ও ফারুক গ্র“পের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস নামে এক বৃদ্ধ নিহ হন। এ ঘটনায় নিহতর স্ত্রী বাদী হয়ে ৯১ জনের নামে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ৭ জন আসামীকে গ্রেফতারা করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের নামে ওই গ্রামে অর্থবানিজ্য ও হয়রানী করা হচ্ছে বলে গ্রামবাসি অভিযোগ করেছেন। এদিকে আব্দুল কুদ্দুস নিহত হওয়ার পর গ্রাম থেকে সাধরণ মানুষও পাল্টা হামলা ও পুলিশের ভয়ে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলার খলিশাকুন্ডু গ্রামে আব্দুস সাত্তার নামে এক ব্যক্তিকে গলায় মাফলার পেচিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার শ্যালক আনিছুর রহমান দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের নামে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের কেরেছেন। পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পরেনি। প্রতিবেশি বদর উদ্দীনের ছেলে রণকের বাড়িতে আব্দুস সাত্তার উকিঁ দেওয়া ঘটনার জের ধরে সাত্তারকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। এদিকে রোববার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর উপজেলার শেরখালী বাজারে স্থানীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নানের পিতা স্কুল শিক্ষক জোনাব আলী মাষ্টারকে সন্ত্রাসীরা গুলি চালিয়ে হত্য করে। এ ঘটনায় এখনো কোটচাঁদপুর থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে কুশনা বাওড় নিয়ে বিরোধ ও দলীয় কোন্দলের কারণে জোনাব আলীকে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top