সকল মেনু

‘ ক্ষুদ্র কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাণিজ্যিকীকরণের ফলে’

 নিজস্ব প্রতিবেদক : উন্নয়ন ধারার নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের ফলে ভূমি, জলাশয় ও বনভূমিসহ প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর ক্ষুদ্র উৎপাদকের অধিকার ও মালিকানা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের সহযোগিতায় উন্নয়ন ধারা ও কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রী আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক পারিবারিক কৃষি বর্ষ ২০১৪ ভূমির মালিকানা, জলাশয় ও বনভূমির দায়িত্বশীল প্রশাসন সংক্রান্ত ভলান্টারি গাইডলাইন এবং দায়িত্বশীল কৃষি বিনিয়োগ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে কৃষকরা জমি ও সম্পদ হারিয়ে জীবিকার সন্ধানে শহরমুখী হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষিতে উৎপাদন বাড়ার সুফল যাচ্ছে ব্যবসায়ী ও দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের এই চিত্র বেশি উদ্বেগজনক। এ দেশের কৃষক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভূমিহীন কৃষক শতকরা ৫৩ ভাগ, প্রান্তিক কৃষক ২৪ ভাগ ও ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যা ১১ ভাগ। এই তিন শ্রেণির কৃষক নিয়ে মোট কৃষক হচ্ছে জনগোষ্ঠীর শতকরা প্রায় ৮৮ ভাগ।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্য আলোচক বলেন, কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানী করা হলেও সেখানে কৃষকদের তেমন কোনো অংশগ্রহণ থাকে না। যাদের মূলধন আছে তারাই ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কৃষিপণ্য রপ্তানী করছে।
এসময় বক্তারা প্রকল্পের মেয়াদ শেষে সব ধরণের কার্যক্রম যাতে থেমে না যায় সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন, ইরি বাংলাদেশের সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. জয়নাল আবেদীন ও কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পরিচালক ড. খালেকুজ্জামান আকন্দ চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top