সকল মেনু

বিশ্বকাপ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুর্ভাগ্যের

8

হটনিউজ২৪বিডি.কম,ডেস্ক: বিশ্বকাপ যেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সব সময়ই দুর্ভাগ্যের। ১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে এসেই ঝড় তুলেছিল তারা। কিন্তু বৃষ্টি আইনে শেষ পর্যন্ত বিদায় নিতে হয়েছিল প্রথম পর্ব থেকেই। ১৯৯৬ বিশ্বকাপেও একই অবস্থা।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ডোনাল্ড-ক্লুজনারের বিখ্যাত সেই ভুল ছিটকে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের।২০০৩ বিশ্বকাপেও সেই দুর্ভাগ্যের শিকার প্রোটিয়ারা। স্বাগতিক হওয়ার পরও বৃষ্টির কাছে ধরাশায়ী হয়ে সুপার সিক্সেও ওঠাই হয়নি তাদের।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই বৃষ্টির কবলে পড়ে লংকানদের সঙ্গে ড্র। কিন্তু তার আগের ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল শন পোলকের দলকে।

তবে বৃষ্টির চেয়েও ওই ম্যাচে হারের কারণ, কিউই অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। বলা যায় নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক একাই শাসন করেছিলেন পোলক, ডোনাল্ড, এনটিনিদের। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে অসাধ্য সাধন করেছিলেন তিনি। ডি/এল মেথডে জিতিয়েছেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের।

মূলতঃ ২০০৩ বিশ্বকাপে কিউইদের জন্য ওই ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। এমনিতেই শ্রীলংকার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে হার। তার ওপর, নিরাপত্তার অজুহাতে কেনিয়াতে খেলতে যায়নি কিউইরা। শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচে জয়ই তাদের পুঁজি। এ অবস্থায় টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে, স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতেই হবে।

কিন্তু জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করতে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন হার্সেল গিবস। ১৪১ বলে তিনি খেলেন ১৪৩ রানের অসাধারণ এক স্কোর। ১৯টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংস।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩০৬ রানের বিশাল স্কোর।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ঝড় তুলেছিলেন কিউই অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংও। ৩১ ওভারেই নিউজিল্যান্ড পৌঁছে যায় ১ উইকেটে ১৮২ রানে। এরপরই সত্যিকার ঝড় নামে প্রকৃতিজুড়ে। প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে যে কারণে।

ঝড় আর বৃষ্টি শেষে যখন খেলার উপর্যুক্ত হলো মাঠ, তখন ম্যাচ রেফারি ঘোষণা দিলেন, ডি/এল মেথডে নিউজিল্যন্ডকে রান করতে হবে ৩৯ ওভারে ২২৬। অথ্যাৎ আর মাত্র ৪৪ রান। হাতে তখনও ৫১ বল।

এরপরের কাজ সম্পন্ন করতে মোটেও বেগ পাওয়ার কথা ছিল না ফ্লেমিং আর নাথান অ্যাসলের জন্য। ফ্লেমিংয়ের ১৩২ বলে অপরাজিত ১৩৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে অ্যাসলের ৫৭ বলে অপরাজিত ৫৪ রান ৯ উইকেটেই বিশাল জয় এনে দেয় নিউজিল্যান্ডকে।

অ্যালান ডোনাল্ডের মত বিশ্বসেরা পেসারকে বাউন্ডারিছাড়া করেই কিউইদের বিজয় উল্লাসে ভাসান ফ্লেমিং। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২১টি বিশাল বাউন্ডারিতে। অথচ নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে মোট ২৭টি বাউন্ডারির মার ছিল।  উজিল্যান্ডের এই জয়ই মূলতঃ স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে দিতে ভুমিকা রেখেছিল।

ফ্লেমিং আর নাথান অ্যাসলে মিলে ১৪০ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন। এই জয়টা কিউইদের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর আগে সর্বশেষ ১৮বার মুখোমুখিতে একবারও প্রোটিয়াদের হারাতে পারেনি তারা। ওটাই ছিল কিউইদের প্রথম জয়।

এছাড়া এই জয়ের পর সুপার সিক্সে উঠতে নিউজিল্যান্ডের খুব বেশি কষ্ট হয়নি। আর স্বাগতিক হয়েও সুপার কিক্সের আগেই দর্শক সারিতে আসন নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

###নূরে আলম জীবন###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top