সকল মেনু

৪৪ বছরেও ভোলায় মেলেনি শহীদদের পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা

Pic--(2)--22--12--14

এম. শরীফ হোসাইন,হটনিউজ২৪বিডি.কম, ভোলা প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৪ বছরেও ভোলায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা স্থাপন করা হয়নি। স্বাধীনতার ৪৪ বছওে এসেও কেন পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা স্থাপিত হয়নি এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দ্রুত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা স্থাপন করার দাবী শহীদ পরিবার ও সুশীল সমাজের।
মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম নিরব মোল¬ার সাথে আলাপকালে জানান, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সূর্য সন্তান। তারা দেশ মাতৃকাকে রক্ষায় তাদের জীবন বাজি রেখে দেশকে রক্ষা করেছে। তাদেরকে দলমত নির্বিশেষে মর্যাদা দেয়া উচিত। তিনি দলীয় সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদেও পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা আজও স্থাপন করা হয়নি। দ্রুত শহীদদের পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্মম ভাবে নির্যাতনসহ মৃত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি ভোলা খেয়াঘাট ও ওয়াপদা কোলনী থেকে চুরি করে ছবি তুলে তা সংবাদ পত্রে প্রেরণ করেছিলেন ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম. হাবিবুর রহমান। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে যথাযথ নীতিমালার মাধ্যমে মর্যাদা দেওয়ার ও পাশাপাশি স্মৃতিগুলো সংরক্ষণের আহবান জানান।
সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন বলেন, স্মৃতি সৌধটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা স্থাপন করে দ্রুত উদ্ভোধন করা হোক। পাশাপাশি ভোলার গর্ব বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাস্কর্য নতুন বাজারে টাউন হলের পাশে নির্মাণ করারও দাবী জানিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন স্থানের সংঘঠিত ঘটনার স্থানগুলো সংরক্ষণ করা সহ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভোলা গণপুর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানায়, মুক্তিযদ্ধের স্মৃতিসৌধ ২০০৪ সালের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১২ লক্ষ টাকা। বিগত ১০ বছর আগে উদ্ভোধনের কথা থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সমূহ বসানো কাজ শুরু করলে ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আপত্তির কারণে আজও নাম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ভোলার সুশীল সমাজ ও সাবেক জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এর অনুরোধে নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ ভোলা সরকারী স্কুল মাঠে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার তৈরী করে দিয়েছেন। বিদায়ী জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৭ই নভেম্বর’ ১৩ইং তারিখে তা উদ্বোধন করেছেন। এর মাধ্যমে ভোলাবাসী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর দুঃখ ঘুচেছে।
অন্যদিকে, ভোলার আপামর জনগণের কবি মোজাম্মেল হক টাউন হলের সামনে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাষ্কর্য নির্মাণ করা ও তার বীরত্বের কথা লিখে রাখার দাবী জানিয়েছেন। এতে টাউন হলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন এবং রক্ষণাবেক্ষন ও সম্ভব হবে।

###নূরে আলম জীবন###

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top