সকল মেনু

কৃষিঋণের সুদহার ২% কমল

11

হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: ব্যাংকের জন্য কৃষি ও পল্লী খাতে ঋণ বিতরণে নতুন সুদহারের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ শতাংশ সুদ কমিয়ে নতুন সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ শতাংশ। এর আগে এ সীমা ছিল ১৩ শতাংশ।

সুদহারের নতুন এ নীতিমালা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে বর্তমানে কৃষকরা ব্যাংক খাত থেকে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারবেন।

রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সুদহার কমানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক বলেন, বাজার চাহিদা বিবেচনায় বেশ কিছু দিন ধরে ঋণ ও আমানতের সুদহার কমে আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে কৃষিখাতে সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা কমানো হয়েছে। এতে করে কৃষকরা বর্তমানের তুলনায় বেশি উপকৃত হবেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষক ও কৃষি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষি খাতকে তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কৃষি খাতকে সহায়তা দিতেই তাই সব ধরনের কৃষিঋণের সুদহার ২ শতাংশ কমানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আমানত ও ঋণের সুদহারের নিম্নমুখী প্রবণতা বিবেচনা করে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লিঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা কমানো হয়েছে। বর্তমানে এ হার ১৩ শতাংশের পরিবর্তে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ ইউসুফ বলেন, ‘এতে আমাদের আয় হয়তো কিছুটা কমবে। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ঋণ অনাদায়ি আছে। সেখান থেকে আদায় করেই না হয় কৃষি খাতের সুদ কমানোর প্রভাব কাটানো যাবে।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বাজারভিত্তিক ব্যবস্থায় কিছুদিন ধরেই সাধারণভাবে ঋণ ও আমানতের সুদহার কমে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে কৃষি খাতে সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা কমানো হয়েছে। এতে করে কৃষকরা বর্তমানের তুলনায় বেশি উপকৃত হবেন।

১৯৮৯ সালের পর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারে। ২০০৭-০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দা-পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি করতে এবং উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি, মেয়াদি শিল্প, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, রপ্তানিমুখী শিল্পসহ বেশ কয়েকটি খাতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরপর ২০১১ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কয়েকটি খাত ছাড়া সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়।

তখন কৃষি ও মেয়াদি শিল্প সুদহার নির্ধারণ করা হয় ১৩ শতাংশ, সব ধরনের রপ্তানি ঋণে ৭ শতাংশ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য তথা চাল, গম, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমদানিতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ১২ শতাংশ।

২০১২ সালের জানুয়ারিতে আরেক দফা নির্দেশে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য খাতে সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

###নূরে আলম জীবন###  

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top