সকল মেনু

চায়না কমলা বরগুনায়

4

বরগুনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশের সর্বত্র হলুদ রঙের চায়না কমলা সমানভাবে জনপ্রিয়। সুমিষ্ট এ ফলটি ছোট বড় সবারই বেশ প্রিয়। দোকানের কমলাগুলো চায়না থেকে আসলেও দক্ষিণাঞ্চলে জেলা বরগুনায় এ চায়না কমলার প্রচুর ফলন হচ্ছে।

এটির দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ দিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের মানিকঝুড়ি গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আ. খালেক হাওলাদার। আদি নিয়মে সাদাসিদেভাবে ঘরের পাশেই খালেক হাওলাদার রোপন করেন একটি কমলা গাছ। একটু পরিচর্যায় বর্তমানে তার কমলা গাছে প্রায় দেড় হাজার কমলা রয়েছে।

বাড়ির আনাচে কানাচে পরিত্যক্ত জমিতে পরিকল্পিতভাবে চায়না কমলার চাষাবাদ করলে কৃষকের ভাগ্যের উন্নয় সম্ভব বলে মনে করেন কৃষক খালেক।

বরগুনা সোনাখালী হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা মো. আবদুস ছত্তার বলেন, আ. খালেকের বাড়িতে চায়না কমলা গাছের সন্ধান পেয়ে আমরা তাকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কলাকৌশলে ফলজ ও শাক সবজি চাষের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।

বরগুনা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে চায়না কমলা চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা সঠিক নিয়মে। আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চায়না কমলা চাষে প্রচুর ফলন পাওয়া যায়। সাধারণত চায়না কমলা গাছের উচ্চতা ১৫ থেকে ১৮ ফুট পর্যন্ত এবং গাছটি ঝোপালো হয়। গোলাকরের এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় এর রং সবুজ এবং পাকলে হলুদাভ লাল হয়। স্থানীয়ভাবে এ কমলা ছোট কমলা নামে পরিচিত। সাধারণত এ গাছে মে মাসে ফল ধরে এবং নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ফল পাকে।

তাছাড়া এ ফলে গুণাগুণ ও রয়েছে বেশি। এ কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top