সকল মেনু

দানব বাস কেড়ে নিল আরো এক তরতাজা তরুণের প্রাণ

 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এম আলমের ছোট ছেলে এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমের ভ্রাতুস্পুত্র শাহ মোহাম্মদ সাদী মোরশেদ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর। সে ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় সেমিষ্টারের ছাত্র ছিল। বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাশ শেষে উত্তর কমলাপুরে অবস্থিত নিজেদের বাসায় হোন্ডাযোগে ফেরার পথে বাড্ডা লিং রোডের কাছে তাকে বহনকারী হোন্ডাটিকে একটি যাত্রীবাহি বাস ধাক্কা দিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এ সময় ওই বাসটি তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে পথচারি ও সহপাঠিরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুকালে সাদী মোরশেদ বাবা, মা, এক ভাই, এক বোনসহ আত্নীয়-স্বজন রেখে গেছে। বুধবার তার মরদেহ চাঁদপুর আনার পর শহরের তালতলায় অবস্থিত পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হবে।
সাদী মোরশেদ একজন মেধাবী ছাত্র ছিল। সে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তার বড় ভাই শাহ মোঃ মাহবুব মোরশেদ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর তার বড় ভাই তাকে পড়াশোনার জন্য অষ্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও সে দেশ ছেড়ে কোথায়ো যেতে সম্মত হয়নি। সে একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিল।

  দেশপ্রেমিক, অত্যন্ত নম্র ভদ্র, হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের অধিকারী সাদী মোরশেদের মৃত্যুর খবরে তার পরিবার-পরিজন, আত্নীয়-স্বজন ও সহপাঠীরা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ, মহাসচিব মোস্তফা জামান হায়দারসহ ২০ দলীয় ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা সাদীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top