সকল মেনু

আবারো পেছালো ফেলানী হত্যার পুনঃবিচার প্রক্রিয়া

ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :: আবারো পেছালো বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী হত্যার পুনঃবিচারের কাজ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর শুনে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শংকা ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, মা জাহানারা বেগম ও পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আদালতে বিচারিক কাজ চলার সময় অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৪ মাসের জন্য বিশেষ আদালতের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়। আগামী বছরের ২৫ মার্চ পুনরায় বিশেষ আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম জানান, অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ অসুস্থ হলে রায়ের পরও তার চিকিৎসা করা যেত। কিন্তু আদালত একবার অমিয় ঘোষকে খালাস দিল। আবার বিচার কাজ শুরু করলে পুনরায় আমি স্বাক্ষী দিয়ে আসলাম। যখন রায়ের অপেক্ষায় আছি ঠিক তখনই শুনতেছি ৪ মাস বিচার কাজ মুলতবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে শংকায় আছি।ফেলানীর মা জাহানারা বেগম জানান, শুনতেছি আবার বিচার স্থগিত করছে। এ কথা শোনার পর ফেলানীর বিচার না পাওয়ার আশংকায় মন ভেঙ্গে যাচ্ছে। ভারত সরকার বিচারের নামে আমাদের সাথে ছলনা করছে। বারবার বিচারের নামে সময় পার করছে। আমি দ্রুত অমিয় ঘোষের শাস্তি চাই। কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পেরেছি ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচার দীর্ঘ ৪ মাস পর আগামী বছরের ২৫ মার্চ শুরু হবে। এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। বাংলাদেশের জনগণ, ভারতের জনগণ সকলের প্রত্যাশা মামলাটি দ্রুত নিঃপত্তি হোক। ন্যায় বিচার সাধিত হোক এটা সকলেরই প্রত্যাশা। কিন্তু রায়ের জন্য মামলাটি ৪ মাস পর শুরু হবে এটা আমাদের কাছে হতাশা জনক। এ বিলম্বটি না হলেও চলতো। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাদ দেয় ভারতের কোচবিহারের বিএসএফ’র বিশেষ আদালত। পরে বিজিবি-বিএসএফ’র দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ফেলানী হত্যার পুনঃ বিচারের সীদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর পুনঃবিচার শুরু করে বিএসএফ। এতে গত ১৭ নভেম্বর ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম আদালতে অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে পুনরায় স্বাক্ষ্য প্রদান করে অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাটাতারের বেড়া পাড় হওয়ার সময় বিএসএফ’র গুলিতে নির্মমভাবে প্রান হারায় কিশোরী ফেলানী। এ হত্যাকান্ডে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমসহ মনবাধিকার কর্মীদের মাঝে সমালোচনার ঝর উঠলে ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার কাজ শুরু হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top