সকল মেনু

সারদাকাণ্ডের আত্মহত্যার চেষ্টা নাকি হত্যা

  কলকাতা প্রতিনিধি : মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সারদাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। সংশোধনাগার থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে শুক্রবার ভোরে তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে৷সিসিইউর (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) পাঁচ নম্বর বেডে আছেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০টি ঘুমের বড়ি খেয়েছেন তিনি৷ তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাতে তাকে কার্ডিওলোজি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তার সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে।

এসএসকেএম হাসপাতালের পরিচালক প্রদীপ মিত্র জানান, কুণাল ঘোষের পাকস্থলি ওয়াশের পর ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

জানা গেছে, অসুস্থতার জন্য প্রতিদিন তিনটি করে ঘুমের বড়ি খেতেন তিনি৷ চিকিৎসকদের নির্দেশেই  নার্ভ, প্রেসার ও ঘুমের ওষুধ খেতেন কুণাল৷কিন্তু তার সেল থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫৮টি ঘুমের ওষুধ৷ এ ছাড়া কাগজপত্রের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু সুইসাইড নোট। তার মধ্যে একটি নোট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা৷

প্রসঙ্গত,  দৈনিক পত্রিকা সংবাদ প্রতিদিনের কার্যনির্বাহী সম্পাদক ছিলেন এই কুনাল। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে সারদা গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আর তখন থেকেই তিনি শ্রীঘরে৷ এরপর  কুনাল বারবার অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তার দলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রী সারদাকাণ্ডে জড়িত আছেন৷ ইতিমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই ও ইডি এবং পশ্চিমবঙ্গের দুটি গোয়েন্দা সংস্হা সিআইডি ও সেবি তদন্ত করছে।

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর আদালতে কুনাল আদালতে বলেন যে, এই কেলেঙ্কারিতে অনেক রাঘববোয়াল জড়িত অথচ কেবল তিনিই একা জেলে আছেন। তিন দিনের মধ্যে তাদের ধরা না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।

এ ঘটনায় রাজ্য সরকার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে৷ স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে এ কমিটি। থাকছেন এডিজি (কারা) অধীর শর্মা ও এসএসকেএম হাসপাতালে পরিচালক প্রদীপ মিত্র।

তবে এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, কুনালের সাহায্যেই পাওয়া যাবে সারদাকাণ্ডের রাঘববোয়ালদের, তাই আজ কুনালের এ অবস্থা।

অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মতে কুনালের কিছু অঘটন ঘটলে সব থেকে লাভবান হবে তৃণমূল কংগ্রেস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top