সকল মেনু

বাংলাদেশে অপরাধ করেছি, বাঁচতে ভারতে এসেছি : সাজিদ

  কলকাতা প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের মূল হোতা শেখ রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অপরাধ করেছি, বাঁচতে ভারতে এসেছি।’ রোববার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে  তোলা হয়েছিল সাজিদকে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএয়ের হেফাজতে রাখা হবে এই জঙ্গি নেতাকে।

জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর বিস্ফোরণের খবর টিভিতে দেখার পর প্রথমে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে গা ঢাকা দেয় সাজিদ। সেখান থেকে সে  ঝাড়খন্ডে চলে যায়। কাছে থাকা রুপি কমতে থাকলে বাধ্য হয়ে তাকে কলকাতায় আসতে হয়।

এনআইএ সূত্র জানায়, সাজিদ জঙ্গিদের মধ্যে বড় দা নামে পরিচিত। তবে সে পুলিশের কাছে নিজেকে প্রথমে গুরাহান শেখ বলে পরিচয় দেয়। ২০১৪ সালে সে পশ্চিমবঙ্গে এসে বর্ধমান, বীরভুম, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে জেহাদি প্রশিক্ষণে মূল প্রশিক্ষক ছিলেন। প্রশিক্ষণের সিলেবাসে কী কী থাকবে, পদ্ধতি কেমন হবে, প্রশিক্ষণ কে দেবেন সবই নির্ধারণ করতেন সাজিদ।

এনআইএয়ের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, ‘সাজিদ যে অপরাধী, তা সে আদালতে স্বীকার করেছে। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছে, প্রাণহানির আশঙ্কায় সে বাংলাদেশে ফিরতে চায় না।’

আদালতে পেশ করা এনআইএয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, সাজিদ ভারত ও তার বাইরের দেশে নাশকতার ছক কষেছিল। আর সেই কথোপকথনের রেকর্ডও হাতে আছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের। কিন্তু গ্রেফতারকৃত সাজিদ আদালতে জানিয়েছে, এনআইএর এই অভিযোগ মিথ্যা। সে শুধু বাঁচতে এসেছে ভারতে, সে বাংলাদেশ যেতে চায় না।

উল্লেখ্য, শনিবার কলকাতায় এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ। গতকালই তাকে তুলে দেওয়া হয় এনআইএর হাতে।

বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য সাজিদ। সাজিদকে ধরে দিলে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ।

সাজিদকে গ্রেফতারের সময় তার কাছে ভুয়া পান কার্ড, দুটি ভুয়া ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নগদ এক লাখ রুপি পাওয়া যায়।

বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি,  কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সাজিদের কাছে এক লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়েই বিমানবন্দর এলাকায়  হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই সাজিদকে গ্রেফতার করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top