সকল মেনু

আইএসের ধাঁচে বর্ধমানে নারীদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ

  কলকাতা প্রতিনিধি : ইসলামিক স্টেটের মহিলা জঙ্গি প্রশিক্ষণের ধাঁচেই তালিম দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের লালগোলার মুকিমনগরের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে। জামাআ’তুল মুজাহিদিনের নারী জঙ্গি বাহিনীর প্রশিক্ষণের এমন একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি বর্ধমান বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে জড়িত বীরভূমের কিরনাহারের কাজি মার্কেটের বাসিন্দা আমজাদ আলি সেখ ওরফে কালের ল্যাপটপ থেকে ভিডিও ক্লিপটি উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ এই নিখোঁজ জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

ভিডিওটিতে দেখা গেছে, বাংলা ভাষায় জঙ্গি জেহাদি গানকে থিম সং বানানো হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীরা কালো পোশাক পরে, মুখোশে মুখ ঢেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

এনআইএ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান ঘিরে যে জঙ্গি-জেহাদি মডিউল গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হয়েছিল জামাআ’তুল মুজাহিদিন— তার পরিকল্পনা ও রূপায়ণ করার ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা ছিল অগ্রণী। পাশাপাশি তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে, এই প্রশিক্ষণের তদারক করছে ওস্তাদ সাজিদ। সাজিদের খোঁজ দিতে পারলে পাওয়া যাবে ১০ লাখ টাকা।

এদিকে প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে ‘বাউন্স’ করিয়ে, পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মেইল করা হয়েছে ওই ল্যাপটপ থেকে। পাওয়া গেছে ৯ হাজারের বেশি ফাইল। পাশাপাশি ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, শিমুলিয়া ও লালগোলার জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির থেকে কমপক্ষে ৩০ জন মহিলা জেহাদি হওয়ার চূড়ান্ত কোর্স করেছে।

অন্যদিকে ধৃত রাজিয়া বিবি ও আলিয়া বিবি জেরায় স্বীকার করেছেন যে শিমুলিয়া, খাগড়াগড় ও মুকিমনগরের ঘাঁটিতে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তৈরি করা হতো। যেখানে তাদের নিয়ে সাত পারদর্শী মহিলার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিস্ফোরক ব্যবহারের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র চালাতেও সিদ্ধহস্ত ওই সাত জঙ্গি কন্যা।

এনআইএ সূত্রে আরো জানা গেছে, তদন্তে পাওয়া সব তথ্যের পাশাপাশি এই ভিডিও ফুটেজ নিয়েও আলোচনা করা হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। আগামী ৯ তারিখই আইজিপি সঞ্জীব সিংহের নেতৃত্বে বর্ধমান-বিস্ফোরণের শিকড়ের তল্লাশে একটি বিশেষ দল পৌঁছাবে ঢাকায়। তাই বলাই বাহুল্য, দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে আরেক অভিযান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top