সকল মেনু

অবশেষে অনুষ্ঠিত হল জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদের ইন্টারভিউ

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের লিখিত পরীক্ষা বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতাংসু শেখর দাসের কোচিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। যে কোন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্কুলে আযোজনের নিয়ম থাকলেও সিতাংসু শেখর দাস প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াই নিজের কোচিং সেন্টারে গোপন ইন্টারভিউর আয়োজন করলেন। পরে রাতের আঁধারে তিনি ডিজি প্রতিনিধি জেলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে মূল্যায়নের জন্য নিয়ে গেলেন লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র। বুধবার জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন ছাপা হয়। অবশেষে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদই সত্য হলো। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতাংসু শেখর দাস প্রধান শিক্ষক পদে নিজে নিয়োগ পেতে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেন। লিখিত পরীক্ষার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে অনেক প্রার্থীর আবেদন গায়েব করেন। গত ২৩ অক্টোবর স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেন। এ দিন ডিজি প্রতিনিধি জেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রার্থীদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র সঠিক না থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা নেননি। অভিযোগ উঠেছে গোপন রফাদফায় ডিজি প্রতিনিধির পরামর্শে বুধবার গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে নিয়োগ কমিটির সদস্য ছাড়াই বুধবার দুপুর দেড়টায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতাংসু শেখর দাসের ভবানীগঞ্জ বাজারস্থ কোচিং সেন্টারে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। কোরাম পুর্ণ ও তাকে সহযোগিতা করতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন নিরোধ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিবানন্দ দাস, জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতিশ চন্দ্র দাস, রাঘনা বটুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, ফুলতলা বশিরউল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আরমান আলী। মিলেমিশে লিখিত পরীক্ষা শেষে রাতের আধারে সিতাংসু শেখর দাস উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়ন ও ফলাফল সিট তৈরীর জন্য নিয়ে যান জেলা সরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ চন্দ্রের কাছে। সেখানে তাকে সহযোগিতা করেন জুড়ী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোপন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী এক প্রার্থীর ঘনিষ্ঠজন জানান, জুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিতাংসু শেখর দাস নজির বিহীন অনিয়মের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার কন্টাক্টে  প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে জানতে জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির প্রধান নরেশ চন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। গোপন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী প্রার্থীরা মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়ায় তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top