সকল মেনু

ছানি অপারেশনের হার বাড়ানোর সুপারিশ অন্ধত্ব নির্মূলে

 ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নির্মূলে আর্থিক বরাদ্দ খুবই নগণ্য, ভিশন ২০২০ লক্ষ্য অর্জনে চক্ষু চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক বরাদ্দ এবং ছানি অপারেশনের হার বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন এ  ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক এনজিও ফোরাম ফর আই হেলথ এবং বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার আয়োজিত দু’দিনের এক কর্মশালায় এ সুপারিশ করেন তারা। বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এ কর্মশালা শেষ হয় মঙ্গলবার। কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা খাতে মানবসম্পদ এবং এ খাতের মাঝারি পর্যায়ের পেশাজীবীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সারাদেশে অন্তত এক হাজার ‘ভিশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠারও পরামর্শ দেন।

চক্ষু-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর আই হেলথ, অরবিস, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি, ব্রাক ও সিবিএমসহ উন্নয়ন সংস্থা, দাতা সংস্থা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিওসমূহ, ভিশন ২০২০ কমিটির সদস্য এবং হাসপাতালের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তা এ কর্মশালায় যোগ দেন।

সোমবার এ কর্মশালা উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।

ন্যাশনাল আই কেয়ার (এনইসি) এর লাইন ডিরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জালাল আহমেদ বলেন, চক্ষু স্বাস্থসেবা খাতে বাংলাদেশে সরকারের বার্ষিক বরাদ্দ মাত্র ৫ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞরা বরাদ্দের এ অংককে নগণ্য বলে অভিহিত করেন এবং এটা বাড়ানোর সুপারিশ করেন।

ছানি অপারেশন হার (সিএসআর), অর্থাৎ প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় ছানি অপারেশনের সংখ্যা গত এক দশকে ৫৫০ থেকে ১৩০০ তে উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নির্মূলে এ সংখ্যা ৩ হাজারে উন্নীত করতে হবে।

কর্মশালার অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে ছিল চক্ষু চিকিৎসা ক্ষেত্রের কর্মীদের দেশের অভ্যন্তরের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং জেলা ও তার নিচের স্তরে কর্মরতদের যার যার কর্মস্থলে ধরে রাখা।

কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি)-এর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কো-চেয়ার ডা. আবু রায়হান এবং আইএনজিও ফর আই হেলথ-এর চেয়ার এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব দূরীকরণে বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএপিবি গৃহীত বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ ভিশন ২০২০-এ যোগ দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top