সকল মেনু

ডিজিটাল কোরবানি আসছে !

  মেহেদি হাসান : নগরীর রাস্তাঘাটে আর পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না। আগামী বছর থেকেই ডিজিটাল কোরবানির আয়োজন করবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নগরবাসীর সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। জানা যায়, ডিসিসির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা নগরীর পশু কোরবানি সরাসরি ব্যবস্থাপনা করবে। এজন্য বিদেশ থেকে আনা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আগে থেকেই ডিসিসিতে পশু কোরবানি দেয়ার বিষয়টি তালিকাভুক্ত করতে হবে। তালিকাভুক্ত করার জন্য ডিসিসি একটি সিরিয়াল নম্বর দেবে। তার আগে গণবিজ্ঞপ্তি দেবে ডিসিসি। মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা, ই-মেইল এবং টেলিফোনেও পশু কোরবানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া যাবে। দীর্ঘকাল ধরে নগরীর রাস্তায় পশু কোরবানি দেয় নগরবাসী। যেখানে-সেখানে কোরবানি দেওয়ায় পশুর নাড়ি-ভুঁড়ি ও রক্তে নগরীর রাস্তাঘাট নোংরা ও পরিবেশ দুষিত হয়ে পড়ে। পশুর বর্জ্য পচে-গলে অসহনীয় দুগর্ন্ধের সৃষ্টি হয়। তাই বর্জ্য অপসারণ করতে প্রচন্ড হিমশিম খায় ডিসিসি। নগরীর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেই ডিসিসি এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।

ডিসিসি জানায়, আগামী বছর থেকেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীকে কোরবানীর পশু জবাই দিতে হবে। সেখান থেকে মাংস প্রক্রিয়াজাত করে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন আপনি। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটি।

প্রাথমিক ভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন একটি আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ করবে।  পরবর্তীতে কয়েকটি ধাপে নগরীতে আরও ১০টি আধুনিক পশু জবাইখানা নির্মাণ করবে ডিসিসি। তখন সেখানেই পশু কোরবানি করতে হবে নগরবাসীকে।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কোরবানির কৌশল নির্ধারণ করতে বৃহস্পতিবার নগরভবনে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সভাপতি ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তঅ  ক্যাপ্টেন মো. রকিব উদ্দিন।

ডিজিটাল কোরবানির উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য উন্নত বিশ্বে পশু জবাই এবং মধ্যপ্রাচ্যের কোরবানীর পদ্ধতি সরেজমিনে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার  বৈঠকের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ইব্রাহীম হোসেন খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাবনার কাশিনাথপুরে বেঙ্গল মিট আধুনিক মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শণে গেছেন। ফিরে এসেই তারা এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মো. রকিব উদ্দিন হটনিউজ২৪বিডি.কমকে  জানান, আগামী বছর থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে কয়েকটি স্থান নির্দিষ্টি করে দেওয়া হবে। ডিসিসি নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানি দিতে হবে। ইতোমধ্যেই প্রকৌশলী এবং সম্পত্তি বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বর্জ্য অপসারণ করতে নগরীর ডিএসসিসির নিয়মিত ৫১৩২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেছে। এর বাইরে আরও অতিরিক্ত ৪ হাজার শ্রমিক পরিচ্ছন্নতাকাজে নিয়োজিত ছিলো। এ ব্যাপারে তিনি নগরবাসীর সহায়তা কামনা করেছেন।

ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান জানান, নগরীতে মোট চারটি জবাই খানা রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। একটি হাজারিবাগ এবং অন্যটি কাপ্তান বাজার। এ দুটি জবাই খানাও আধুনিকায়ন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top