সকল মেনু

চাঁদপুর থেকে খেকে পঙ্গপালের মত মানুষ ছুটছে কর্মস্থলের দিকে

 শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: শনিবার চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছিল। মানুষ যেন পঙ্গপালের মত ছুটে আসছিল লঞ্চ ঘাটে। জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ শত চেষ্টা করেও লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠা ঠেকাতে পারছিল না। অতিরিক্ত যাত্রীদের  লঞ্চে উঠা থেকে বিরত রাখার জন্য পুলিশকে মৃদু লাঠি চার্জ  পর্যন্ত করতে হয়েছে। একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে আন্ত্ঃনগর ও স্পেশাল ট্রেনগুলোতে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা ট্রেনে হামলে পড়ছেন চট্রগ্রাম ও সিলেট যাবার জন্য। বাসগুলোর অবস্থাও তথৈবচ। চাঁদপুর বাসষ্ট্যান্ডে চট্রগ্রামগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সড়ক পথে সময়, অর্থ বাঁচাতে এবং যানজট ও ঘন ঘন দুর্ঘটনা এড়াতে চাঁদপুর থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীরা নৌ-পথ ব্যবহারকেই নিরাপদ মনে করে। ফলে স্বাভাবিক সময়েও চাঁদপুর – ঢাকা রূটের লঞ্চগুলোতে প্রচুর যাত্রী থাকে। ঈদ এলে এক সাথে অনেক লোক বাড়ি ফেরা এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার কারণে লঞ্চগুলোতে তিল ঠাঁই থাকে না। গত রোজার ঈদ থেকে দেখা গেছে, পাশ্ববর্তী লক্ষীপুর এবং শরীয়তপুর জেলার লোকজনও চাঁদপুর হয়ে লঞ্চে যাতায়ত করে। ফলে এখন ভিড় অস্বাভাবিকতায়  পরিণত হয়েছে। লঞ্চ মালিকরাও এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং বেশি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। বারবার তাদের সতর্ক করার পরও তারা নৌ-যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো না ভেবে লাভের কথাই ভাবছেন।  ঈদ উপলক্ষে নৌ-যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত করা হয়েছে। কর্তব্যরত ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানালেন, তারা লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে দিচ্ছেন না। লঞ্চ যাত্রীতে ভরে গেলেই নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চ ছেড়ে দেয় হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কেউ তাদের কাছে কোন অভিযোগ করেনি বলে জানিয়ে তিনি জানান, কেউ অভিযোগ করলে তারা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক ও বন্দর  কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানালেন, এবার কঠোরভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের নিরাপদ নৌ-ভ্রমণ নিশ্চিত করতে তারা স্পেশাল লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন।প্রশাসনের কঠোর তদারকির মধ্যেও লঞ্চগুলো ঠিকই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। আর যাত্রীরাও জীবনের মায়া না করেই পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে লঞ্চগুলো চড়ে বসছে। এ অবস্থায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়ানো কী ভাবে সম্ভব সে নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top