সকল মেনু

ঈদ উপলক্ষে ওয়ালটনের ২৪ সিআরটি টিভির চাহিদা বাড়ছে

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বাজারে সিআরটি (ক্যাথোড রে টিউব) টেলিভিশনের চাহিদা বাড়ছেই। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের মানুষ এখনো সিআরটি টিভির প্রতি আস্থা রাখছেন। আর তাই এলইডি এবং এলসিডি টিভির ভিড়েও সিআরটি’র চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সিআরটি টিভি উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়ালটন। জানা গেছে, ঈদ উল আজহা উপলক্ষে ২৪টি নতুন মডেলের সিআরটি টেলিভিশন বাজারে এনেছে ওয়ালটন। ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষাপটে উৎপাদন বৃদ্ধির এই পরিকল্পনা। গত বছরের তুলনায় ওয়ালটনের সিআরটি টিভি বিক্রি বেড়েছে ৭০ শতাংশ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- সাশ্রয়ী মূল্য, টেকসই প্রযুক্তি এবং ঝকঝকে ছবি পাওয়া যায় বলে এখনো বেশির ভাগ মানুষের আস্থা সিআরটি টিভির প্রতি। গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় রেখে ওয়ালটন নিত্য নতুন ডিজাইনের সিআরটি টেলিভিশন বাজারে আনছে। বর্তমানে ওয়ালটনের ৪০টিরও বেশি মডেল রয়েছে। এতো সংখ্যক মডেল ও ডিজাইনের সিআরটি আর কোনো ব্র্যান্ডে নেই বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেছনে ভ্যাকুয়াম টিউবযুক্ত সিআরটি টিভি উন্নত বিশ্বে আর তৈরি হচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষাপটে ওয়ালটন সিআরটি টিভি উৎপাদন কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে, এসব টিভির ডাই-মোল্ড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ওয়ালটন নিজেরাই তৈরি করছে। এ অবস্থায় অভ্যন্তরীণ বাজারের প্রায় পুরো চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটন টেলিভিশন বিপণন বিভাগের ইনচার্জ মওদুদ পারভেজ মামুন বলেন, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের টিভি উৎপাদনের কারখানা থাকায় অধিক মডেলের সিআরটি টিভি বাজারে আনা সম্ভব হচ্ছে। ঈদ উল আজহা উপলক্ষে ২৪টি নতুন মডেল বাজারে এসেছে। তিনি বলেন, ওয়ালটনের নিজস্ব গবেষনা ও উন্নয়ন বিভাগের মেধা ও শ্রমে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের এসব পণ্য। প্রকৌশলী আবদুল মালেক সিকদার বলেন, সিআরটি টিভিতে কালো রং এর ম্যাটিক্স পর্দা ব্যবহৃত হয়। যা ছবির উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ছবিকে করে তোলে প্রানবন্ত। এর ভিউয়িং এ্যাঙ্গেল ৯০ ডিগ্রি হওয়ায় যে কোনো কোন থেকে ভালো ছবি পাওয়া যায়। এর পর্দার উজ্জ্বলতা ৫৪ লুমেন/বর্গমিটার এবং কালার টেম্পারেচার ৯৩০০ক্ক ক, যা চোখের জন্য সহনীয়। হাইপার ব্র্যান্ডের টিউনারে আছে ত্রিমাত্রিক ফিল্টার। এতে অপ্রয়োজনীয় সংকেতকে পরিশ্রুত করে ভিডিও-অডিও সংকেতকে সমৃদ্ধ করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অত্যাধুনিক মেশিনারিজ, দক্ষকর্মী ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় মাসে এক লাখ টিভি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চ গতি সম্পন্ন অটো ইরসানশন এবং পরিবেশ বান্ধব সোল্ডারিং মেশিন। এই প্রযুক্তির ফলে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোর মান নিয়ন্ত্রন হচ্ছে। ওয়ালটন সিআরটি টিভির প্রধান বৈশিষ্ট স্টোরিও সাউন্ড সিস্টেম। যা শব্দকে করে তোলে নিখুঁত ও স্পষ্ট। বাংলাদেশ টিভি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টেলিভিশন দেশে উৎপাদন ও সংযোজন হয়। প্রায় ২ লাখ টেলিভিশন সরাসরি আমদানি হচ্ছে। জানা গেছে, গুণগত উচ্চমানের পাশাপাশি কালারের ভেরিয়েশন ও দেশব্যাপী সার্ভিসিং নেটওয়ার্ক থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ওয়ালটন টিভি। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনের রয়েছে আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। গ্রাহক সেবা দিতে সারা দেশে কাজ করছেন ৫০০ শতাধিক প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top