সকল মেনু

সিরাজগঞ্জ শহীদ কোচিং সেন্টারের পরিচালক কেয়ার টেকারের হাত ধরে উধাও

 সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রেমের মরা জলে ডোবেনা …………..এ কথাটি সত্য প্রমানিত করতে সিরাজগঞ্জ শহরে অবস্থিত শহীদ কোচিং সেন্টারের পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু চেষ্টা কোন ত্র“টি করেনি। প্রেমের যথার্থ মুল্য দিয়েছে তারই প্রতিষ্ঠানের এক নারী কেয়ারটেকারের হাত ধরে উধাও হয়ে। এ ঘটনায় সমগ্র শহর জুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।  রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত শহীদ কোচিং সেন্টার সিরাজগঞ্জের শাখার পরিচালক হাসানুজ্জামান খান রঞ্জু দীর্ঘদিন যাবত একাধিক সুন্দরী মহিলার সঙ্গে পরকিয়া প্রেম করে আসছিল। সম্প্রতি শহীদ কোচিং সেন্টারের এক সুন্দরী নারী কেয়ার টেকারের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল। এই কেয়ার টেকার সুন্দরী নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে অবশেষে পরিচালক রঞ্জু রবিবার তাকে নিয়ে উধাও হয়ে গোপনে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন বলে সিরাজগঞ্জ শহর জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে শহীদ কোচিং সেন্টারের অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক পরিবার সূত্রে জানা যায়।  ইতিপূর্বে শহীদ কোচিং সেন্টার সিরাজগঞ্জের শাখার পরিচালক নারী লোভী রঞ্জু ২জন নারীর সঙ্গে পরকিয়া করে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আপোষ রফা করলেও এবার ফেঁসে গেলেন।
এদিকে রঞ্জুর স্ত্রী তার দুই সন্তান নিয়ে পরেছেন বিপাকে। একই সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও মুখ দেখাতে পারছেন না। এ বিষয়ে শহীদ কোচিং সেন্টার সিরাজগঞ্জের শাখার পরিচালক হাসানুজ্জামান খান রঞ্জুর সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও  তিনি মোবাইল ফোন রিসিফ করেননি।
স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াদ রহমান জানান,বিষয়টি আমার বাসার সাথে হলেও কেউ আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। তবে লোকমুখে শুনেছি ঘটনা নাকি সত্য।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহীদ কোচিং সেন্টারের এক স্টাফ জানান,আমাদের পরিচালক রঞ্জু সাহেব আমাদের অফিসের এক মেয়েকে বিয়ে করেছে শুনেছি। এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না চাকুরী চলে যাবে।
এদিকে দেশের স্বনাম ধন্য একটি কোচিং শিক্ষা কেন্দ্রের এহেন কর্মকান্ড নিয়ে ইতোমধ্যে সচেতন মহল বিস্মিত। তারা মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিরে শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক মানষিকতার অবসান হতে পারে। নতুবা বিপথগামি হবে কোচিং এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top