সকল মেনু

যশোরে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতিকে গুলি করে হত্যা

 রিপন হোসেন, যশোর থেকে: দুর্বৃত্তদের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ যশোর শহর শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান (৪৭)। শনিবার বিকেলে শহরের বেজপাড়া রানার অফিস মোড় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মান্নান বেজপাড়া শহীদ মাহফুজ সড়কের বাসিন্দা ও শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তিনি বেজপাড়া শান্তি-শৃংখলা কমিটিরও সভাপতি ছিলেন। এদিকে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ এলাকাবাসী হাসপাতাল ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বেজপাড়া তালতলা জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় শেষে পাশ্ববর্তী দৈনিকরানার অফিস মোড়ের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ এম ট্রেডার্সে গিয়ে বসেন আব্দুল মান্নান। এসময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অফিসে ঢুকে তার বুকের বাম পাশে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বাসনারী কেটে দেয়। এতে তিনি লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তার অফিস থেকে বেরিয়ে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়। লাশ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।  স্থানীয় যুবক ফেরদৌস জানান, হত্যা মিশনে থাকা ২০/২২ বছরের দুই তরুণ মান্নানের অফিসে প্রবেশ করে। এদের একজনের মুখবাঁধা থাকলেও অপরজন মুখখোলা অবস্থায় ছিল। হামলা শেষে এই দুর্বৃত্তদ্বয় মান্নানের অফিস থেকে বের হওয়ার পর তারা হামলাকারিদের ধাওয়া করে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যান। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। পরে আরএন রোড নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে আরও একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে মান্নান হত্যার প্রতিবাদে এলাকাবাসি শহরে ও হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে আওয়ামী লীঘ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ করেছে। বেজপাড়ার বাসিন্দা ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু অভিযোগ করেন, এলাকার শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় তথা সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে মান্নান ছিলেন সোচ্চার। এতে ক্ষতিগ্রস্ত চক্রই এ খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। একই অভিযোগ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মিলন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ও প্রশাসনকে এককাতারে এনে এলাকায় শান্তি বজায় রেখেছিলেন মান্নান। সে কারণেই তাকে খুন করা হতে পারে। কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, হত্যার কারণ ও খুনিদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দু’টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
নিহত মান্নান যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চাঁনপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি নিলাম ব্যবসা করতেন। এ ব্যবসা সংক্রাস্ত বিরোধেও তিনি খুন হতে পারেন বলে সন্দেহ পুলিশের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top