সকল মেনু

বাড়তি আয় স্বল্প পুঁজিতে

 আফিফা জামান: রাজধানীর নিউমার্কেটের সামনে ব্যাগ বিক্রি করেন জুয়েল। দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুয়েল মূলত একজন দিনমজুর। ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন। ঈদকে সামনে রেখে জুয়েলের মতো হাজারো মৌসুমি ব্যবসায়ীর দেখা মেলে রাজধানীতে। স্বল্প পুঁজিতে বাড়তি আয় হয় বলে জানান এসব ব্যবসায়ী। অনেক ক্ষেত্রে স্থায়ী ব্যবসায়ীদের চেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বেশি বলে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্যবসায়ী জুয়েল হটনিউজ২৪বিডি.কমকেকে বলেন, ‘দিনমজুর হিসেবে কাজ করি। ঈদ উপলক্ষে সেখানে তো আর বাড়তি কাজ নেই। তাই অল্প কিছু টাকা নিয়ে কয়েকদিনের জন্য এখানে ব্যাগ বিক্রি শুরু করেছি। ঈদকেন্দ্রিক বিক্রিয় বেশ ভালো।’

একাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ এলেই একশ্রেণির বেকার ও হতদরিদ্র মানুষ মৌসুমি ব্যবসা বেছে নেন। সারা বছর অর্থাভাবে থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে মৌসুমি ব্যবসা করে তারা কিছুটা হলেও ঈদের আনন্দ ভোগ করতে পারেন। তবে এ মৌসুমি ব্যবসার প্রায় সবকটি ফুটপাতকেন্দ্রিক।

রাজধানীর এসব মৌসুমি ব্যবসার মধ্যে রয়েছে ফুটপাতে ব্যাগ, কম মূল্যের জুতা, প্রসাধনী, চিরুনি, ইফতার সামগ্রী, আতর-সুরমা, টুপিসহ বিভিন্ন প্রকারের তৈরী পোশাক। ফুটপাত বা রাস্তার পাশের এসব দোকানির প্রায় সবাই বেকার মানুষ। এরা জায়গা ও পুঁজির অভাবে স্থায়ী কোনো ব্যবসা করতে পারেন না। ফলে তারা বছর জুড়ে দিনমজুরসহ নানা পেশার কাজ করে থাকেন। অনেক সময় এরা কাজের অভাবেও ঘরে বেকার হয়ে বসে থাকে।

গুলিস্তানের হল বাজারের ফুটপাতে পাঞ্জাবি বিক্রি করছেন শাহ আলম। ঈদকেন্দ্রিক এ ব্যবসায়ী হটনিউজ২৪বিডি.কমকেকে বলেন, ‘আগামী শুক্রবার থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত ফুটপাতে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হবে। নিম্নআয়ের মানুষগুলো শেষ পর্যায়ে এখান থেকে তাদের পছন্দের পোশাকটি কিনেন।’

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩৫টি ফুটপাত বাজার বসে। এসব বাজারে স্থায়ী ব্যবসায়ীর পাশাপাশি মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।  রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট, হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেট, মতিঝিলের ফুটপাতে মৌসুমি ব্যাবসায়ীদের আধিপত্য একটু বেশি লক্ষ করা গেছে।

এসব স্থান ছাড়াও পাড়া মহল্লার টং দোকান বা রাস্তার পাশের উঁচু জায়গায় অস্থায়ী দোকান সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে পাঞ্জাবি, পায়জামা, লুঙ্গি, শাড়ি, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, টি শার্ট, জুতা, ছোটদের পোশাক বেশি বিক্রি হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত ছাড়াও ওভারব্রিজের ওপরেও চলছে ঈদের কেনাকাটা। এসব বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশই মৌসুমি ব্যবসায়ী।

নিউমার্কেটের ফুটওভার ব্রিজের ওপর কসমেটিকস বিক্রি করেন শাহদাত হোসন। তিনি হটনিউজ২৪বিডি.কমকেকে বলেন, ‘১০ রোজা থেকে এই ব্যবসা শুরু করেছি। ভালো বিক্রি হচ্ছে। ঈদের চাদঁরাত পর্যন্ত বিক্রি হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top