সকল মেনু

কুড়িগ্রামে যাত্রাপুরের ভাঙন রোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে ১৫ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা । এ যেন শুকনো পুুকরে এক বালতি জল ফেলার মতো অবস্থা। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ সর্বস্থ হারিয়ে যখন পথে বসার জোগার তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘ঠুটো-জগন্নাথ’ অবস্থায় হতাশ ভাঙন কবলিত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার হাজার হাজার মানুষ সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে দুধকুমর ও ব্রহ্মপূত্র নদের মিলিত শাখার ভয়াবহ ভাঙনে এক কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধসহ আড়াই কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে চলেগেছে। এরফলে হুমকীর মুখে পড়েছে স্কুল, রেগুলেটর, মসজিদ, যাত্রাপুর বাজারসহ সহ¯্রাধিক বসতবাড়ি। এই এলাকার ভাঙন ঠেকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠায়। কিন্তু বাজেট অনুমোদন পায় মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা। ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকার ভাঙন রোধে  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অবহেলায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে ভাঙন এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায়  চরম হতাশার পড়েছে।  সরজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাজার, নৌঘাট, ব্যাপারীপাড়া, ফারাজীপাড়া, বলদিপাড়া, গারুহারাসহ পাঁচগাছি ইউপি’র আরাজি কদমতলা গ্রামে দুধকুমর ও ব্রহ্মপূত্র নদের মিলিত ভাঙনে দেড় শতাধিক বসতবাড়ীসহ এককিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে চলে যায়। চলতি মাসে গৃহহীন হয়েছে আরোও দেড় শত পরিবার। এলাকার মানুষ ভাঙন প্রতিরোধের জন্য মানববন্ধন, স্মারকলিপি, সভা-সমাবেশ করেও যখন কূল-কিনারা করতে পারছিল না। তখন প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় সাংবাদিকদের দ্বারস্ত হয়েছে এলাকাবাসী। মফিজুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম, কুদ্দুস আলী আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘হামাক গুলা বাচাঁন বাহে-নদী সউগ শ্যাষ করিল। শেখের ব্যাটি (প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা) ছাড়া কাইয়ো বাচঁপার পাবারনয় হামাক’।যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, চলতি মাসে নদী ভাঙনে এই এলাকায় ৩শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। নদী যে আকৃতিতে ভাঙছে তাতে পাছগাছি ইউনিয়নে অবস্থিত ধরলা নদীর সাথে দুধকুমর ও ব্রহ্মপূত্র নদ একসাথে মিলে যেতে পারে। এতে কয়েক হাজার হেক্টর মূল ভূখন্ড ছাড়াও শত শত হেক্টর আবাদী জমি বালুচরে পরিণত হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না সর্বনাশ হয়ে যাবে। গৃহহীন হয়ে পড়বে প্রায় সহ¯্রাধকি পরিবার । কুড়িগ্রামের এ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল কাদের জানান, ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১ কিলোমিটার সেমিবাঁধসহ আড়াই কিলোমিটার এলাকা প্রতিরোধে মাটির কাজ, জিও ব্যাগ, জিও ফিল্টারের জন্য ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ মিললে আশা করা যায়,  ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, ভাঙন রোধের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমরা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে। ইতি মধ্যে আমরা চর যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে ওক্ষা করতে পেরেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top