নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম: আব্দুল আজিজের হত্যার হুমকি পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদার ও নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার এহতেশাম ওরফে শীষ মনোয়ারের ছোট ভাই এহতেশাম সায়ান্ত। গত ১৬ জুলাই বুধবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের রেল লাইন সংলগড়ব ৭০১ এস কে টাওয়ারে অবস্থিত টাইকুন এন্টারটেইনমেন্ট-এর কার্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানালেন এহতেশাম সায়ান্ত।নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওইদিন রাতেই ঢাকার রমনা মডেল থানায় তিনি একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নম্বর ১০৫৫। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই আনুমানিক সময় বেলা ২ টার দিকে আলিমুল্লাহ খোকন নামের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ও মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রোডাকশন ম্যানেজার উজ্জল মিয়া মগবাজারস্থ টাইকুন অফিসে সশস্ত্র হাজির হয়ে আলিমুল্লাহ খোকন নিজেকে সরকারী দলের রমনা থানা এলাকার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের বাল্যবন্ধু পরিচয় দিয়ে দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অহেতুক অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। সেসঙ্গে পিস্তল দেখিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন এমনকি পরবর্তীতে দেখামাত্র গুলি করবে বলে বার বার হুমকি দিতে থাকে এমনকি টাইকুন অফিস ভাংচুর করারও ভয় দেখায়।হঠাৎ করে কেন এমন ঘটনা ঘটলো এ প্রশেড়বর জবাবে শীষ মনোয়ারের ভাই এহতেশাম সায়ান্ত বলেন, আমরা নিজেরাও বুঝতে পারছি না প্রকৃত কারণ কী! আলিমুল্লাহ খোকন এবং উজ্জ্বল বের হওয়ার পর আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আলীমুল্লাহ খোকন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় টাকার বিনিময়ে বিভিনড়ব অফিস, জমি বা বাড়ি দখলের কাজে সরাসরি নিয়োজিত এবং আরো জানতে পারলাম সে একই বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় অবস্থিত মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ তাকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। টাইকুন এন্টারটেইনমেন্ট বেশ কিছুদিন ধরে সিনেমার ডিজিলাইজেশনের নতুন ভার্সন ‘ডিসিপি’ নিয়ে কাজ করে আসছি। জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং টাইকুনÑ দুটো মিডিয়া হাউস একই ভবনে অবস্থিত হলেও আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও পদ থেকে আমার বড় ভাই শীষ মনোয়ার সরে আসার জের হিসেবেই বহু অপকর্মের হোতা আব্দুল আজিজের নির্দেশে সন্ত্রাসী আলীমুল্লাহ খোকন হয়তো আমাদের উৎখাত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই আমার ভাই শীষ মনোয়ারের সঙ্গে আব্দুল আজিজের সঙ্গে মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার অংশিদারিত্ব মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে, সেই বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। চলচ্চিত্র প্রযোজক শীষ মনোয়ার বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে আমি পুরোপুরি নির্বাক হয়ে গেছি। মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়ার অংশিদারীত্ব নিয়ে কথা বলতে হলে আমার সাথে জনাব আজিজ সাহেবের কথা বলা উচিৎ। মেসার্স জাজ মাল্টিমিডিয়া আমার হাতে তৈরি, একে আমি একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করেছি। এ প্রতিষ্ঠানের একজনের অপকর্মের দায়ভার একটি ব্র্যান্ড বা এর সংশ্লিস্ট অন্য কারো হতে পারেনা। এখন জাজ মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড আমার একক ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্র্যান্ড (জয়েন্টস্টক কোম্পানিজ এ্যান্ড ফার্মস, বাংলাদেশ কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: ঈ – ১১৭১৩৪/১৪) । বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উনড়বয়নের যে স্বপড়ব নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম একজন দুর্বৃত্তের জন্য এই শিল্প ধ্বংস হয়ে যেতে পারে না। আমার নিজের ব্র্যান্ড জাজ মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চলচ্চিত্র উনড়বয়নের কাজ করে যাবো। আর এজন্য সন্ত্রাসী দিয়ে অস্ত্র প্রদর্শন করে আমার ভাইকে হুমকি ধামকি দেয়া কোন কাজের কথা নয়। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী হিসেবে দ্বায়িত্বে থাকার সময় উনি যেসব নানা ধরনের অপকর্ম করেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এমনকি আমার প্রাণ রক্ষার তাগিদে এতোদিন নানা অপকর্মের নেপথ্য নায়ক আজিজ ভাই সম্পর্কে কোথাও কিছু বলিনি। আমার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে আমার ভাইয়ের অফিসে এসে গুন্ডামী মাস্তানি করে ভয় দেখিয়ে গেলে দেশবাসীর কাছে তার মুখোশ উন্মোচন করে দিতে বাধ্য হবো। শীষ মনোয়ার আরো বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এদেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের পরিবারের আত্মহুতির কথা অনেকেই জানেন। আমাদের উপর অন্যায় অবিচার করা হলে দেশের মানুষ কিছুতেই তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইব। তিনি কিছুতেই একটি দুষ্কুত ব্যক্তির দ্বারা একটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের কোন ক্ষতি হতে দেবেন না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।