সকল মেনু

পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে ভোলার তজুমদ্দিনে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে

 ভোলা প্রতিনিধি: পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে ভোলার তজুমদ্দিনে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়ি চাঁদপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চলতি রমজানে মাসে বেড়ীবাঁধ সংলগ্ম প্রায় অর্ধশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অহিদ উল্যাহ জসিম, নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও চাঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া পানিবন্দী মানুষের খোজ-খবর নেয় এবং ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া, কাটাখালী, দক্ষিন চাঁচড়া, গুরিন্দা, চাঁদপুর, স্লুইজ গেইট, হাজিকান্দি, ধৌরনীর খাল, রাম প্রসাদ, তালুকগ্রাম, চৌমহনী, সোনাপুর, মহেষ খালীসহ বেশ কয়েকটি স্পটে করাল গ্রাসী মেঘনার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে। গত শনিবার থেকে প্রবল জোয়ারের চাপে গুরিন্দবাজার সংলগ্ম পুরাতন বেঁড়ি বাধ ভেঙ্গে হু-হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকে চাঁদপুর ইউনিয়নের পুরাতন বেড়িবাঁধ সংলগ্ম ১টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০টি পানিবন্দী হয়ে হয়ে পড়ে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জোয়ারের পানি পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়ে থাকায় দীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টা মারাক্তক দূর্ভোগের মধ্যে থাকে এসব এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে এসব এলাকার পানিবন্দী অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। গত ৪ দিন ধরে দফায় দফায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে এসব এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ রান্না বান্না করতে না পারায় চলতি মাহে রমজান মাসে ইফতার ও সেহেরী সময় মারাত্মক  দুর্ভোগের পোহাতে হচ্ছে। তজুমদ্দিনের পানিবন্দী আলাউদ্দিন, মফিজুল ইসলাম বলেন, জোয়ার আসলেই সন্তাানদের নিয়ে চকির উপর দাড়িয়ে থাকতে হয়। ঘরের ভিতরে এক হাটু পানি। পানির ভিতরে থাইকা ইফতার ও ভোর রাতে সেহেরী খাইতে অনেক কষ্ট হয় ।  তাছলিমা ও মিনারা বেগম বলেন, জোয়ার আসলেই ঘরের ভিতরে হাটু পর্যন্ত পানি উঠে। রান্না করতে পারিনা, চৌকির উপর টিনের চুলা দিয়ে ভাত রান্না করে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চরম দূর্ভোগে দিন কাটাতে হয়। এদিকে দিন দিন জোয়ারের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় জানমাল নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া বলেন, চাঁচড়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড়ের এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। যে কোন মুহুর্তে পুরো বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হতে পারে পুরো ইউনিয়ন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top