সকল মেনু

বারো দিনের শিশু উদ্ধার;বাবা-মার কাছে হস্তান্তর

 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: চাঁদপুর পধান ডাকঘর সংলগ্ন টেলিগ্রাম অফিসের বাউন্ডারির ভেতরে থাকা ড্রেনের পাশে ময়লা আবর্জনার উপর থেকে ১২ দিন বয়সী মায়মুনা আক্তার নিহা নামে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পথচারীরা। শিশুটিকে পাওয়ার পর প্রথমে কে কার আগে দায়িত্ব নিয়ে তাকে লালন-পালন করবে এ নিয়ে চলে টানাহেঁচড়া। পরে শিশুটির বাবা-মা খোঁজ পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় আসলে পুলিশ শিশুটিকে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করে। শনিবার সকালে শিশু মায়মুনা আক্তার নিহার বাবা উত্তর ইচলীর ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার নিহাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আসেন। তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইসমাইল হোসেন একটি সিএনজি স্কুটারে তার স্ত্রী এবং সন্তানকে রেখে কিছু কেনাকাটা করতে যান। এ সুযোগে ওই সিএনজি স্কুটার চালক শিশুটির মা জেসমিন আক্তারকে নেশা জাতীয় কিছু দিয়ে প্রায় অচেতন করে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের কমলাপুরের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে চালক জেসমিন আক্তারের সাথে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ টাকা-পয়সা নিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে শিশুটিকে নিয়ে পুনরায় চাঁদপুর শহরে চলে আসে। তখন সে শিশুটিকে নিয়ে বিপদে পড়ে এবং কোনো উপায় না পেয়ে চাঁদপুর প্রধান ডাকঘরের পাশে পরিত্যক্ত টেলিগ্রাম অফিসের বাউন্ডারির ড্রেনের পাশে ময়লা আবর্জনার উপর একটি তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে যায়। দুপুরের দিকে ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া আবদুল বারেক গাজী (২২) নামে এক পথচারী শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে শিশুটিকে দেখতে পান। তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নিতেই মুহূর্তের মধ্যে জামতলা এলাকার মুরাদুল ইসলাম টিটুর স্ত্রী নাছিমা বেগম তার কোল থেকে শিশুটিকে নিজের কোলে টেনে নেন এবং তিনি বলেন, স্যার (পুলিশ) আমাকে পাঠাইছে শিশুটিকে নেয়ার জন্য। তাৎক্ষণিক আবার এক আমেরিকা প্রবাসী নারী এসে বলেন, আমি এখানে একটি বাচ্চা পাওয়ার কথা শুনে তাকে নিতে এসেছি। দু-তিন ব্যক্তির মাঝে চাঁদপুর মডেল থানায় শিশুটির দায়িত্ব নেয়া নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে টানা হেঁচড়া চলে। পরে এক পর্যায়ে মডেল থানায় এসে হাজির হন শিশুটির বাবা ও মা। তারা শিশুটিকে হারানোর বর্ণনা প্রদান করেন। পরে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল কাইয়ুম শিশুটির মায়ের সব কথা শুনে আইন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেন। শিশুটির মা জেসমিন আক্তার অসৎ ওই সিএনজি স্কুটার চালকের অনৈতিক কাজের বর্ণনা দেন। ফুটফুটে সুন্দর নাড়ি ছেঁড়া ধনকে অক্ষত অবস্থায় কোলে ফিরে পেয়ে শিশুটির মা যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top