সকল মেনু

মৌলভীবাজারে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস পালন হয়নি

 এম শাহজাহান আহমদ,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কোথাও জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস পালন হয়নি। ৩ জুলাই জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস তা মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান, মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন এটিএম মতিউর রহমান, জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান,  মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম খাঁন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফয়জুল করিম ময়ূন, ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুমেল আহমদসহ একাধিক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস কোথাও পালন হয় নাই। এমনকি ৩ জুলাই যে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস তা কাহারো জানা নেই। গত ২ জুলাই বুধবার বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক আ. ক. ম. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী এ সব কথা জানান। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘জন্ম একবার, নিবন্ধনও একবার’। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদসহ দেশব্যাপী আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করছে।  ২০০৬ সালে ইউনিসেফ ও বাংলাদেশের সহায়তায় পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৮টি জেলায় ও ৪টি সিটি কর্পোরেশনে জন্ম নিবন্ধনের কাজ নতুনভাবে শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৭৩ সালের আইনে পরিবর্তন এনে সরকার ২০০৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ২৯ নং আইন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ প্রবর্তন করে। আইনটি ২০০৬ সালের ৩ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ৮(১) ধারা অনুসারে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং ৮(২) ধারা অনুসারে কারো মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসহ ৪ হাজার ৯৯৬টি নিবন্ধক অফিস এবং দেশের বাইরে ৩৬টি দূতাবাসে বর্তমানে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের কাজ চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সারাদেশে এ পর্যন্ত হাতে লিখে ও অনলাইনে মোট ১৬ কোটির অধিক মানুষের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে ৬৯ লাখেরও বেশি মানুষের। চলতি বছরের মধ্যে হাতে লেখা নিবন্ধনও অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। দেশে ও প্রবাসে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখের বেশি জন্ম তথ্য অনলাইনভুক্ত করা হয়েছে। জন্ম ও মত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত, গতিশীল এবং দেশের নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যুর একটি স্থায়ী ডাটাবেজ সংরক্ষণ রাখার স্বার্থে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম ও মৃত্যু আইনের সংশোধন করে রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অফিস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top