সকল মেনু

বেলাবতে যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রী সন্তানদের বাড়ি থেকে তাড়িয়েছে স্বামী

 বেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর বেলাবতে স্বামীর চাহিদা মত যৌতুক দিতে না পারায় শশুরালয়ের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে দুই সন্তান নিয়ে অন্যের বাড়িতে কষ্ঠে দিনাতিপাত করছে শোফলা বেগম নামে এক ডাক্তার পতœী। এ ব্যাপারে উক্ত গৃহবধু নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নরসিংদী আদালতে স্বামী নাজমুল হোসেন সহ শাশুড়ি জরিনা আক্তার,দেবর নুরুল আমিন, কুলসুম বেগম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।  মামলা দায়েরের পর মামলা তুলে নিতে শশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক অব্যহত হুমকী পাচ্ছে উক্ত গৃহবধু। মামলার সূত্র ও গৃহবধু শোফলা বেগম জানান, ৭ বছর আগে উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আঃ বারিকের মেয়ে শোফলার বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার গকুল নগর গ্রামের আঃ মান্নানের ছেলে নাজমুল হুসাইন ওরফে নাজমুল প্রধানের সাথে। বিয়ের পর স্বামী নাজমুল সহ শশুর বাড়ির লোকজনের চাপের মুখে নাজমুলকে মেডিসিন ব্যবসা করার  জন্য বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ যৌতুক এনে দেয়। কিন্তু তাতেও শুশুর বাড়ির লোকজন তৃপ্ত না হওয়ায় শোফলাকে আরো টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে গৃহবধু রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে দুই সন্তান সহ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। জানা গেছে নাজমুল একজন ডাক্তার। সে ভৈরব সহ বিভিন্ন এলাকার বেসরকারী হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে চাকরী করার সুবাধে নার্স ও আয়াদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি তার হাসপাতালে কর্মরত সেলিনা আক্তার নামে এক নার্সকে প্রথম স্ত্রী শোফলার অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করে। পরবর্তী পর্যায়ে অন্য একটি হাসপাতালের এক আয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। এদিকে গৃহবধু শোফলা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। সে তার অনুমতি ছাড়াই একাধিক বিয়ে করেছে। যৌতুক দিতে না পারায় তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সে তার দুই শিশুর সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে গৃহবধুর স্বামী ডাঃ নাজমুল হোসেন জানান, তার বৌ অত্যান্ত ঝগড়াটে। তাকে সে রোটানী পাবলিক কর্তৃক তালাক প্রদান করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top