সকল মেনু

অবৈধ দখল; নদীর জমি বিক্রি করছেন চেয়ারম্যান!

 সাভার প্রতিনিধি (ঢাকা) :  সাভারের নয়ারহাট এলাকায় বংশী নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকায় লিজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে নদীর কয়েক একর জমি দখল করে অবৈধভাবে শতাধিক দোকান ও চারটি দুতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে দিনে রাতে অবিরাম নদীর জমিতে স্থাপনা তোলার কাজ চলছে। দখল করা ওইসব জমি বিক্রির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নয়ারহাট এলাকায় বংশী নদীর তীরে বালু ফেলে নদীর প্রায় তিন একর জমি দখলে নেয়া হয়েছে। দখল করা জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক দোকান, পাকাস্থাপনা ও চারটি তিন তলা ভবন। অবৈধভাবে গড়ে তোলা শতাধিক দোকানের মধ্যে আবার প্রত্যেকটি দোকান জমিসহ দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকায় স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান একাধিক দোকান মালিক। জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, নয়ারহাট এলাকার বংশী নদীর তীরে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের কাছ থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি একটি দোকান কিনেছেন। বর্তমান তার দোকানটি স্থানীয় অপর এক ব্যক্তির কাছে ভাড়াও দিয়েছেন। একই কথা বললেন সাইজুদ্দিন, মোয়াজ্জেম, খোকন আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন দোকান মালিক। তারা জানালেন, তারাও দেওয়ান চেয়ারম্যানের কাছ থেকে দোকানগুলো কিনেছেন। আর এ জন্য তাদের প্রতিটি দোকান বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে হয়েছে। শুধু জমি দখল ও বিক্রি করা হচ্ছেনা দেওয়ান চেয়ারম্যানের নামেও রয়েছে ১২টি দোকান। দশ শতাংশ জমির উপর পাঁচ তলা ফাউন্ডেশনের বহুতল ভবন তৈরির কাজ করছেন তিনি। আব্দুল্লাহ, হাফিজ উদ্দিন, মজিবুর রহমানসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পাথালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান নদীর জমি অবৈধভাবে দখল করে দাকান নির্মাণ করে সেগুলো বিক্রি করছেন। আর এতে বংশী নদী তার গতিপথ আর প্রবাহ হারিয়ে মরাখালে পরিণত হচ্ছে। এভাবে নদীর তীর দখল করে স্থাপনা গড়ে উঠলে এক সময় এ নদীটি বিলীন হয়ে যাবে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘নদীর পার্শ্ববর্তী এক সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লখা করে টাকা নেয়া হয়েছে। আর এর জন্যই ওইসব ব্যাক্তিদের নদীর তীরে একটি করে দোকানসহ জমি দেয়া হয়েছে।’ সাভার উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার লিয়াকত হোসেন হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘নদী দখল নিয়ে ইতিমধ্যেই চারটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই নদীর সীমানা নির্ধারণ করে যেসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন মোল্লা হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, ‘নদীর তীর দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top