সকল মেনু

মৌলভীবাজারে জনসাধারনের চরম দূর্ভোগ

 এম শাহজাহান আহমদ,মৌলভীবাজার: অল্প বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজার মডেল পৌর সভার ৫টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্থায়ী জলাবদ্ধতার। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪শতাধিক বাড়িঘর। পৌর কতৃপক্ষের উদাসীনতায় শহরের পানি নিষ্কাষনের একমাত্র মাধ্যম কোদালী ছড়া। সম্প্রতি জাইকার অর্থায়নে এলজিইডি মাধ্যমে কোদালীছড়ার ১২কি:মি: খননের কাজ হাতে নিয়ে দৃশ্যমান কিছূ কাজ করলেও পুরো কাজ সটিকভাবে না করা কারনে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনে দু:খ তিমিরেই রয়ে গেল।  মৌলভীবাজার মডেল পৌর শহরের ১,৪,৬,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ধরকাপন,বড়কাপন, শেখেরগাওঁ, গির্জাপাড়া, শ্যামলী, সৈয়ারপুর, মাজের হাটিরোড ,টিবি হাসপাতাল রোড, সার্কিট হাউস এলাকা গত দুদিনের সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে এলাকার অধিকাংশ বাসা বাড়ি।পৌরসভা কার্যালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের মধ্যে এসব এলাকা। কিন্তু তাতে কি হবে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিপাতেই পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয় প্রায় ৪হাজার পৌরবাসিকে। মডেল পৌরসভায় এই জলাবদ্ধতার সমস্যাটি দীর্ঘ কয়েক বছরের বলে জানান এলাকাবাসি। এলাকার কয়েকজন বলেন, দুতিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এ জলাবদ্ধতা। বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ার ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। জলাবদ্ধতার কারনে,অফিস আদালতÑ যেতে পারছেন না এলাকার মানষজন। অনেকের ঘরে ২দিন- যাবত রান্না বন্ধ থাকায় দিন কাটাচ্ছেন অর্ধাহারে-অনাহারে। আর নালাÑ ডোবার নোংরা পানির স্পর্শে নানা চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এ জলাবদ্ধতার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করলেন এলাকাবাসী । এছাড়াও তারা আরো বলেন, পৌরসভা প্রতি বছর বাজেটে বরাদ্ধ দেখিয়ে ড্রেন সংস্কার ও খাল খনন না করে লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। পৌরসভা যদি সটিকভাবে কাজ ও দখলদালীদের বিরুদ্ধে উচ্চেদ অভিযান করতো তাহলে এই জন দুর্ভোগ পোয়াতে হতোনা।  মৌলভীবাজার পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী বলেন, মৌলভীবাজার শহরবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে বাঁচাতে কোদালী ছড়া খালটি পুন:খননের জন্য জাপানের ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের (জাইকা) অধীনে মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে কাজটি সম্পুর্ন না করে প্রকল্পের টাকা হরিলুট করা হয়েছে । পৌরসভায় প্রতি বছর বাজেটে ড্রেনেজ সংস্কারের জন্য বরান্ধ থাকলেও কাজ না করে বরাদ্ধ লুটপাট হয়ে আসছে। এব্যাপারে বার বার যোগাযোগ করা হলেও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফয়জুল করিম ময়ুনকে মোবাইল ফোন বা পৌরসভায় পাওয়া যায়নি। এই অভিযোগ অস্বীকার করে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, জাইকা পৌর এলাকার পানি নিষ্কাষনের জন্য এই প্রকল্প গ্রহন করেনি। মুলত চাষাবাদ ই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার ব্যাপারে মডেল পৌর কর্র্তৃপক্ষের আশার বানী শুনে সন্তুষ্ট নয় ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবী অবিলম্বে সটিকভাবে কোদালী ছড়া খনন করে এই জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে নতুবা পৌরবাসী কঠোর আন্দোলন শুরু করবে বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top