সকল মেনু

সৈয়দপুরে যৌতুক মামলার বাদীনিকে প্রাণনাশের হুমকি

 মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী  ১৭ জুন:  নীলফামারীর সৈয়দপুরে যৌতুকলোভী ও শারীরিক নির্যাতনকারী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীনিকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ মিলেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদীনি মনজিলা বেগম বিথী। তিনি উপজেলার খাতমধুপুর ইউনিয়নের খালিশা বেলপুকুর গ্রামের চেšধুরীপাড়ার বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের মেয়ে। পারিবারিক সম্মতিতে গত ২০০৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট পুকুরপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে লোকমান হোসেনের সংগে বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক বাবদ বরপক্ষকে নগদ দুই লাখ টাকাৗ দেয়া হয়। কিন্ত বিয়ের এক বছর পর বর লোকমানের আসল চেহারা বেড়িয়ে আসে। সে আসক্ত হয়ে পড়ে পরকীয় প্রেমে। পারকীয়ায় বাঁধা দিতে গিয়ে বার বার নির্যাতনের শিকার হন মনজিলা বেগম বিথী। শত নির্যাতনের পরেও সংসার করার আশাস্বুকে পাথর বেঁধে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেন বিথী। এরই মাঝে বিথীর গর্ভে জন্ম নেয় এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। পরকীয়ার টানে লোকমান হোসেন ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাহবুবা হোসেন ইশা নামে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেন। নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে ইশার বাবা বাবা মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দম বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরে উভয়ের মাঝে বিষয়টি আপোষ-মীমাংসা হলে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে প্রথম স্ত্রী বিথীর উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় লোকমান হোসেন। যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। এ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থধ্য হয়ে উঠেন বিথী। হাসপাতালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) দায়িত্বরত এসআই আফজাল হোসেন বিথীর নির্যাতনের বিষয়টি নারী ও শিশু দমন আইনে এৎাহার প্রেরণ করে মামলাটি সৈয়দপুর থানায় রেকর্ডভ’ক্ত করতে থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করেন। পরে থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি সহকারি পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। এতেও প্রতিকার না হওয়ায় বিথী গত ২২ মে নীলফামারীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে স্বামী লোকমান হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সেই আদেশ থানায় আসলেও তামিল করা হচ্ছে না বলে অবিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর সার্কেলের এএসপি এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, বাদীনি আদালতে মামলা করেছে, তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top