সকল মেনু

গোলপোস্টের বিশ্বস্ত সেনানীরা : প্রথম পর্ব

  সানজিদা হীরা : ফুটবল খেলার সৌন্দর্য্য কোথায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে যদি কেউ বলে বসেন, বল নিয়ে খেলোয়াড়দের পায়ের কারুকাজ- তাহলেই ভুল করবেন। এ কথা ঠিক, গোলের খেলা ফুটবলে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রাই সাধারণত হয়ে থাকেন সবচেয়ে বড় তারকা। তাদের দর্শনীয় গোল দেখতে উন্মুখ হয়ে থাকেন অগণিত ভক্ত-সমর্থক। তবে অনেক সময়ই তাদের সব প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে নায়ক বনে যান গোলরক্ষকরা। আর এক্ষেত্রে পা নয়, তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা নিজেদের দুই হাত। বলাই বাহুল্য, ফুটবল খেলায় বৈধভাবে হাত ব্যবহারের সুযোগ শুধু গোলরক্ষকদেরই আছে। তাদের নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন ‘গোলপোস্টের বিশ্বস্ত সেনানীরা’। এবার দেখে নেয়া যাক গোলপোস্টের নিচে বিশ্বস্ত সেই জোড়া হাতের কয়েকজন মহানায়কের ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী। ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব আজ তুলে ধরা হল :

লেভ ইয়াসিন : সর্বকালের সেরা ফুটবলার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই বললেই চলে। কারণ ফুটবল বোদ্ধাদের প্রায় সবার মতে, লেভ ইয়াসিনই হলেন সর্বকালের সেরা গোলরক্ষক।
যেখানে দু’চারটি পেনাল্টি শট আটকে দিয়েই নায়ক বনে যান গোলরক্ষকরা, সেখানে লেভ ইয়াসিনের জন্য পেনাল্টি রুখে দেওয়া ছিল অনেকটাই রুটিন ওয়ার্ক! সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই খেলোয়াড় সমগ্র ক্যারিয়ারে ১৫০টি পেনাল্টি শট রুখে দিয়েছেন।
তিনিই একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে জিতেছেন ‘ইউরোপিয়ান ফুটবলার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার। পেশাদার ক্যারিয়ারে ৮১২টি ম্যাচের প্রায় ৫০০টিতেই তিনি নিজের গোলপোস্ট সম্পূর্ণ অক্ষত রাখতে সক্ষম হন। এমনকি তার নামেই বিশ্বকাপ ফুটবলের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারের প্রবর্তন করে তাকে সম্মান জানিয়েছে ফিফা।
গর্ডন ব্যাঙ্কস : ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ব্যাঙ্কস। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের হেড থেকে গোলপোস্টের দিকে ছুটে যাওয়া বল অবিশ্বাস্য দক্ষতায় রুখে দিয়ে। অনেকের মতেই, এটিই কোন গোলরক্ষকের সর্বকালের সেরা সেভ।
এমনকি নিশ্চিত গোল জেনে পেলেও ‘গোল’ বলে চিৎকার করেই ফেলেছিলেন। তবে গোলপোস্টের নিচে ডান কোণ থেকে সে যাত্রায় ঠিকই দলকে রক্ষা করেন ব্যাঙ্কস।
জিয়ানলুইজি বুফন : ইতালিয়ান সিরি’আ লিগে সাতবার বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন বুফন। এর পাশাপাশি চারবার জয় করেছেন আইএফএফএইচএস এর বিশ্বসেরা গোলরক্ষকের খেতাব। ২০০৬ সালে ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি জিতে নেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top