সকল মেনু

হবিগঞ্জ সীমান্তের বনে কামান বিধ্বংসী গোলা

 হবিগঞ্জ প্রতিনিধ,হটনিউজ২৪বিডি.কম: হবিগঞ্জের সাতছড়িতে ভারত সীমান্তবর্তী পাহাড়ি বনে দ্বিতীয় দিনের অভিযানেও বিপুল  রিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আগের দিন অভিযানে প্রায় ২০০ কামান বিধ্বংসী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গোলা পাওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের ৩ কিলোমিটার ভেতরে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ির ওই টিলাগুলোতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব সদস্যরা। দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র এটিএম হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টিলাগুলোতে মোট সাতটি বাঙ্কারের সন্ধান পেয়েছেন তারা। সেগুলোর মধ্যে তিনটি থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি ও ভারী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটি মেশিনগান, একটি রকেট লঞ্চার, মেশিগানের ব্যারেল পাঁচটি, ২২২টি কামানের গোলা ও তা ছোড়ার কাজে ব্যবহারের ২৪৮টি চার্জ এবং বিভিন্ন ধরনের ১২ হাজার ৯৮৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ জুন বগুড়ায় এক ট্রাক গুলি এবং ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে আটক দশ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের সাদৃশ্য রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের উইং কমান্ডার হাবিব। ওই সব টিলায় বসতি থাকলেও বাসিন্দারা পালিয়ে গেছেন জানিয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, তারা তাদের নজরদারির মধ্যেই আছেন। সংরক্ষিত ওই বনাঞ্চলে টিলার ওপর গভীর কূপের মধ্যে তৈরি করা বাংকারের মধ্যে এসব অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়। যে স্থানে এসব পাওয়া গেছে, তা এক সময় অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের (এটিটিএফ) আস্তানা ছিল বলে মনে করা হয়। ত্রিপুরার এই বিদ্রোহী দলটি এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, এটিটিএফের এই আস্তানাটি আসামের বিদ্রোহী সংগঠন উলফাও অস্ত্র পাচারের জন্য ব্যবহার করত।

এটিটিএফ এর প্রধান রঞ্জিত দেবর্মা বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে ত্রিপুরার কারাগারে রয়েছেন। বলা হয়, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আটক হয়েছিলেন, পরে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়। দেবর্মার সঙ্গে উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। পরেশ বড়ুয়া চট্টগ্রামে আটক ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত। ওই অস্ত্র উলফার জন্য আনা হয়েছিল বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে।

পরেশ বড়ুয়া পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হয়, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে লুকিয়ে আছেন তিনি।

ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, উলফা ও এটিটিএফ কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অস্ত্র আনত, তারপর তা নিয়ে রাখা হত হবিগঞ্জের সাতছড়ির আস্তানায়।

র‌্যাবের মুখপাত্র হাবিব জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান তারা। তবে তার আগে ৪/৫ দিন ধরে ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে আসছিলেন র‌্যাব সদস্যরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top