সকল মেনু

লটকনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি

 শেখ আঃ জলিল,বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর উত্তর অঞ্চল বেলাব,শিবপুর,মনোহরদী উপজেলার লাল মাটির সবুজ পাহাড়ী এলাকায় এবার লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। লটকনের এই বাম্পার ফলনে লটকন চাষীদের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। সরেজমিনে বেলাব উপজেলার আমলাব,উজিলাব,বটেশ্বর,লাখপুর,উজিলার,ওয়ারী ও শিবপুর উপজেলার যোশর, জয়নগর, আজকিতলা,কুমারটেক মরজাল গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে গাছে গাছে ঝুপাঁয় ঝুপাঁয় লটকনের ছড়া ঝুলে আছে। তাছাড়া কৃষকরা জানান. এ এলাকার লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে মধ্যপ্রাচ্য সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাছে গাছে ঝুপাঁয় ঝুপাঁয় লটকনের ছড়া ঝুলে আছে । লাখপুর গ্রামের লটকন চাষী আঃ বাতেন ভুইয়া প্রায় ২ বিঘা জমিতে লটকন চাষ করেছে। তিনি আশা করছেন এ বছর প্রায় ১০ লাখ টাকার লটকন বিক্রি করতে পারবে। বটেশ্বর গ্রামের লটকন চাষী আ্ঃ রহিম বলেন তাঁদের ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২১০টি লটকন গাছ রয়েছে। গত বছর তিনি মোট ২ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছিল । প্রাকৃতিক তেমন কোন দূর্যোগ না হলে এবং বাজার দর ভাল থাকলে এ বছর প্রায় ৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করার আশা প্রকাশ করছে। জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন দেবনাথ এর ছেলে উওম কুমার দেবনাথ জানায় তাঁর মোট ১০০ টি গাছে বর্তমানে লটকন আসে। এ বছর ফলন খুবই ভাল হয়েছে তাই আশা করছি আমি প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব। বাঘাব ইউনিয়নের আ: হাই মিয়া জানায় তাঁর মোট ৯০ টি লটকন গাছ রয়েছে। গত বছর ৫টি গাছে ফলন আসেনি তাঁর পরও তিনি পাইকারী ব্যবসায়ীর নিকট বাগানেই নগদ ৯০ হাজার টাকা বিক্রি করেছিল । এ বছর ফলন খুবই ভালো হয়েছে এবং সবগুলো গাছেই ফলন এসেছে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বাজার মূল্য ভালো পেলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছে। শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: হানিফ সিকদার জানায় উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ করা হয়েছে। লটকন চাষ করে চাষীরা অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়ায় এখানকার কৃষক থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ লটকন চাষে ঝুকে পড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top