মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সম্প্রতি মৌলভীবাজারের ১১ জনসহ সারাদেশের ৭৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘আটক-বাণিজ্যের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি নথি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আটক বাণিজ্যের অভিযুক্তরা হলেন-মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার এসআই মো. আনোয়ার মিয়া বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত, এস আই মাসুদ, এ এস আই মহসীন, এ এস আই রফিক, সার্জেন্ট আবু দাউদ ইব্রাহিম, বড়লেখা থানার এসআই রিপন চন্দ্র ঘোষ ও কাওসার আহমেদ, কমলগঞ্জ থানার এসআই আনজির আহমেদ ও আকরাম হোসেন ও শ্রীমঙ্গল থানার এস আই মো. জাহাঙ্গীর সর্দার। জেলায় প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা ও মটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে মৌলভীবাজারে পুলিশের বেপরোয়া ‘আটক বাণিজ্যে’ হয়রানির শিকার হচ্ছেন নানা পেশার মানুষ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে পুলিশের এমন অনৈতিক কর্মকা- দেখা গেলেও পুলিশের ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও চাদাঁবাজি বন্ধ হচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
নথি অনুযায়ী, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ২৯০ জনের কাছ থেকে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তারের পর অর্থের বিনিময়ে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বিশেষ প্রতিবেদন এর সাথে দেওয়া এক চিঠিতে দোষী পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী’ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে জানাতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।